পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে এই বৎসরের শেষভাগে বেকারের সংখ্যা দাঁড়াইল এক কোটি। গ্রেটবৃটেনেও বেকারের সংখ্যা দ্রুত বর্দ্ধিত হইতে লাগিল। ১৯২৯-এর ফাঁড়া কাটাইয়া উঠিতে না উঠিতেই ধনতান্ত্রিক দেশগুলি আবার এক নূতন অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হইল। এইভাবে ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলি যখন আভ্যন্তরীণ স্ববিরোধিতায় বিপন্ন, বিভিন্ন শ্রেণীর স্বার্থ সংঘাতের সামঞ্জস্য বিধানে অক্ষম, ঠিক সেই সময়ে আক্রমণশীল রাষ্ট্রগুলি উহার সুবিধা লইয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের ক্ষতি পূরণে অগ্রসর হইল এবং দুর্ব্বল দেশগুলির উপর অর্থ নৈতিক আধিপত্য অস্ত্রবলে স্থাপন করিতে লাগিল। এই লোভের ভিত্তির উপর জার্ম্মানী ও জাপানের সহিত যোগ দিল ইতালী।

 ১৯৩৫-এ ফাশিষ্ট ইতালী কোন কারণ না দেখাইয়া এবং আন্তর্জ্জাতিক আইন পদদলিত করিয়া আবিসিনিয়া দখল করিয়া লইল। যুদ্ধ ঘোষণা না করিয়াও এই উলঙ্গ দস্যুবৃত্তি ফাশিষ্ট রাষ্ট্রগুলির মধ্যে রেওয়াজ হইয়া উঠিল। যাহাহউক ইহা কেবল আবিসিনিয়ার স্বাধীনতা হরণ নহে, গ্রেটবৃটেনের উপর ইহার প্রত্যক্ষ আঘাত আসিল; ইউরোপ হইতে ভারতবর্ষ ও এশিয়ার সমুদ্রপথ বিঘ্ন-সঙ্কুল হইল। গ্রেটবৃটেন ইতালীর আবিসিনিয়া দখলে বাধা দিতে গিয়া ব্যর্থকাম হইলেন। ইতালী রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাহিরে গিয়া স্বাধীনভাবে অজস্র সমরোপকরণ নির্ম্মাণ কার্য্য সুরু করিল।

 নাৎসী জার্ম্মানী ভার্সাই সন্ধিপত্র ছিড়িয়া ফেলিল এবং অস্ত্রবলে ইউরোপের মানচিত্র পরিবর্ত্তন করিবার পরিকল্পনা দম্ভভরে ঘোষণা করিতে লাগিল। জার্ম্মান নাৎসীরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি অধীন, অন্ততপক্ষে জার্ম্মান জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি দখল করিবার অভিপ্রায় প্রায়

১৫০