পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

প্রকাশ্যভাবে ব্যক্ত করিতে লাগিল। এই পরিকল্পনা অনুসারে তাহারা প্রথমে অস্ট্রিয়া অধিকার করিল, তারপর চেকোশ্লোভাকিয়াকে আঘাত করিল। তারপর পোলাণ্ড আক্রমণ এবং মহাযুদ্ধের সূচনা।

 ১৯৩৭-এর গ্রীষ্মকালে জার্ম্মানী ও ইতালী মিলিতভাবে স্পেন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিল। স্পেনিশ ফাশিষ্টদিগকে সাহায্যের অছিলায় নাৎসী ফাশিষ্ট বাহিনী স্পেনে অবতরণ করিল। দক্ষিণ বেলিয়ারিক দ্বীপপুঞ্জ, জিব্রাল্টার পশ্চিমে আত‍্লাণ্টিক সাগর এবং উত্তরে বিশ্বে উপসাগরে নাৎসী ফাশিষ্ট রণতরিগুলি আড্ডা গাড়িল। ১৯৩৮-এর প্রারম্ভে জার্ম্মান নাৎসীরা অষ্ট্রিয়া দখল করিয়া দানিয়ুব নদীর কেন্দ্রস্থল অধিকার করিয়া দক্ষিণ ইউরোপে দৃষ্টি প্রসারিত করিল।

 স্পেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করিয়া ইতালী ও জার্ম্মানী ঘোষণা করিল যে সাম্যবাদীদিগকে দলন করা ছাড়া তাহাদের আর কোন উদ্দেশ্য নাই। কিন্তু এই স্থূল ধাপ্পবাজি কেবল নির্ব্বোধদিগকে প্রতারণা করিবার জন্য, আসলে ইহার উদ্দেশ্য ছিল গ্রেটবৃটেনের ও ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তলদেশ হইতে খনন করিবার চেষ্টা। অস্ট্রিয়া দখল করাটা ভার্সাই সন্ধির বিরুদ্ধে যুদ্ধও নহে এবং বিগত মহাযুদ্ধে হস্তাচ্যুত রাজ্যখণ্ড পুনরুদ্ধারের চেষ্টাও নহে। ইহা বলপূর্ব্বক সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা। ইহা পশ্চিম ইউরোপে জার্ম্মানীর আধিপত্য বিস্তারের দুরাকাঙ্খা এবং সর্ব্বোপরি ইহা গ্রেটবৃটেন ও ফ্রান্সের মর্যাদায় আঘাত।

 ১৯৩৭-এ জাপ-ফাশিষ্টরা পিপিং অধিকার করিল, মধ্যচীনে অভিযান করিল এবং সাংহাই বন্দর দখল করিয়া লইল। এখানেও সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হয় নাই। জাপানীদের নিজেরই সৃষ্ট “স্থানীয় ঘটনার” অছিলায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল দেখা গেল।

১৫১