ষ্ট্যালিন
কার্য্যতঃ তাঁহারা ইহাকে বাধা প্রদান করিতেছেন। অথচ কোন উপায়েই আবিসিনিয়া স্পেন ও চীনকে রক্ষা করা গেল না। তথাকথিত গণতন্ত্রগুলির যে সামরিক বা অর্থ-নৈতিক দুর্ব্বলতা বশতঃই এইরূপ একতরফা যুদ্ধ সম্ভব হইয়াছে ইহা মনে করিলে ভুল করা হইবে। ‘গণতান্ত্রিক’ রাষ্ট্রগুলি নিশ্চয়ই ফাশিষ্ট রাষ্ট্রগুলি অপেক্ষা শক্তিশালী ছিল; কিন্তু তাহারা ঐক্যবদ্ধ হইয়া একই উদ্দেশ্যে মিলিত হইতে পারে। যদিও তাহারা ফাশিষ্ট রাষ্ট্রগুলির অতিবৃদ্ধি দেখিযা শঙ্কিত হইতেছিল তথাপি তাহাদের অধিক আশঙ্কার কারণ ছিল ইউরোপের অসন্তুষ্ট শ্রমিক সম্প্রদায় এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জাতীয় স্বাধীনতার আন্দোলন সমাজতন্ত্রবাদের প্রসার।
অন্যদিকে সাম্যবাদের শত্রু ফাশিজমের প্রতিও তাহাদের মনের অবচেতন কোনে একটা প্রশ্রয়ের ভাব ছিল এবং এই সকল কারণে ‘গণতান্ত্রিক’ রাষ্ট্রের বিশেষভাবে বৃটিশ রক্ষণশীল শাসকশ্রেণী তোষণনীতি অবলম্বন করিয়া ক্ষুধিত ফাশিষ্টদিগকে বুঝাইতে লাগিলেন যে চরম পন্থা অবলম্বন না করিলেও ক্রমে ও ধীরে ফাশিষ্ট রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্য বিস্তারের দাবী পূরণ করা সম্ভবপর হইবে। গ্রেটবৃটেনের শাসকশ্রেণী এবং তাঁহাদের ফ্রান্স ও আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুরা যখন বুঝিলেন যে তাঁহাদের তোষণ-নীতি এবং কূটনীতি দুইই ব্যর্থ হইল তখন তাঁহারা অনন্যোপায় হইয়া পোলাণ্ডের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা সমর্থন করিলেন।
সোভিয়েট রাশিয়া এই সকল. ঘটনাবলী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করিতেছিল। আন্তর্জ্জাতিক পরিস্থিতির জটিল ও অমঙ্গল সম্ভাবনাপূর্ণ ঘটনাবলী যখন ঘনাইয়া আসিল তখন আত্মরক্ষার্থ সোভিয়েট রাশিয়া
১৫৩