ষ্ট্যালিন
উৎপাদনের পরিবর্ত্তে সমরোপকরণ নির্মাণে নিয়োজিত করিতে হইয়াছে। জাতীয় আত্মরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করিবার জন্য ইহার প্রয়োজন রহিয়াছে। এই পরিবর্ত্তনের ফলে আমরা চারমাস কাল ঐ সকল কারখানায় পণ্য উৎপাদন করিতে পারি নাই। কিন্তু উহা দ্বারা আমরা রক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করিয়াছি।
“যদি আমরা উহা না করিতাম তাহা হইলে আত্মরক্ষার আধুনিকতম সরঞ্জাম সংগ্রহ করিতে পারিতাম না। ইহা ব্যতীত দেশের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না; ইহা না করিলে আমরা বহিঃশত্রুর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হইয়াই থাকিতাম। তাহা হইলে আমাদের অবস্থা অল্পাধিক বর্তমান চীনের মত হইত। চীনের নিজস্ব বৃহৎ কলকারখানা নাই, নিজস্ব অস্ত্রশস্ত্র নির্ম্মাণের ব্যবস্থা নাই, ফলে যে কেহ খুসী মত তাহাকে পীড়ন করে। আমাদের উপর কেহ চীনের মত ব্যবহার করিলে আমরা সশস্ত্র প্রতিরোধ করিতাম, কিন্তু সেই ভয়াবহ অসম যুদ্ধে আমরা আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত আক্রমণের সম্মুখে প্রায় নিরস্ত্র হইয়া অগ্রসর হইতাম।”
১৯৩৩-এ হিটলারের অভ্যুত্থানের পর হইতে লাল পণ্টনকে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করিবার বিপুল ব্যবস্থা অবলম্বিত হয়। ষ্ট্যালিন একদিকে সামরিক বল সঞ্চয় করিতে লাগিলেন, অন্যদিকে শান্তিরক্ষার দিক হইতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করিতে লাগিলেন। ১৯৩৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সোভিয়েট রাশিয়া লীগ-অফ-নেশনসে যোগদান করে। সোভিয়েটের বিশ্বাস ছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুর্ব্বলতা সত্ত্বেও এই কেন্দ্র হইতে আক্রমণশীল রাষ্ট্রগুলির দুর্ব্বলতা উদ্ঘাটন করা যাইতে পারে এবং যুদ্ধকে ঠেকাইবার চেষ্টা করা যাইতে পারে। জাপানের মাঞ্চুরিয়া দখল এবং হিটলারের
১৫৫