পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

তরবারী আস্ফালনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমষ্টিগত নিরাপত্তার কোন গুরুত্ব অবশ্য ছিল না। সোভিয়েট প্রতিনিধি লিটভিনফ জেনেভায় ইংলণ্ড ও ফ্রান্সকে সমষ্টিগত নিরাপত্তার আদর্শ প্রয়োগ করিবার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করিয়াছেন। লিটভিফ, সম্মিলিত সামরিক নেতৃত্বের বৈঠক আহ্বান করিবার প্রস্তাব করিলে, চেম্বারলেন ও বৃটিশ গভর্নমেণ্ট সরাসরি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিয়া, সোভিযেটকে বাদ দিয়াই হিটলারকে তুষ্ট করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। অস্ট্রিয়ার পর চেকোশ্লোভাকিয়ার পালা আসিল। হিটলার সুদেতেন দাবী করিলেন। কিন্তু বৃটেনের প্রভাবে ফ্রান্স প্রতিশ্রুতিপালনে অস্বীকৃত হইল। সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট চেক গভর্ণমেণ্টকে জানাইলেন, বৃটেন ফ্রান্স অগ্রসর না হইলেও আমরা সন্ধির সর্ত্তানুযায়ী চেক রাষ্ট্ররক্ষায় অগ্রসর হইব। কিন্তু মিঃ বেনেস বৃটেনের চাপে পড়িয়া রাশিয়ার সাহায্য গ্রহণ করিতে পারিলেন না। মিউনিক বৈঠকে ইতালী, জার্ম্মানী, ফ্রান্স ও বৃটেন, সোভিয়েট রাশিয়াকে বাদ দিয়া চেকোশ্লোভাকিয়াকে বলি দিলেন। চেম্বারলেন “জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা” রূপে নির্ব্বোধ ও ভণ্ডদের দ্বারা অভিনন্দিত হইলেন। হিটলার ১৯৩৯-এর মার্চ মাসে বিজয়গর্ব্বে সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করিলেন।

 এই সময় ১০ই মার্চ্চ সোভিয়েট ইউনিয়নের কম্যুনিষ্ট পার্টির অষ্টাদশ কংগ্রেসে, ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির ষড়যন্ত্র এবং প্রকারান্তরে জার্ম্মানীকে ইউক্রেণ অধিকার করিবার জন্য উৎসাহদানের প্রচেষ্টার সমালোচনা করিয়া ষ্ট্যালিন বক্তৃতামুখে বলিয়াছিলেন,—

 “সাংহাই হইতে জিব্রাল্টার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের ৫০ কোটি নরনারীর ভাগ্য যে যুদ্ধে জড়িত হইয়াছে, সেই সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করিয়াছে। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার মানচিত্র বলপূর্ব্বক

১৫৬