ষ্ট্যালিন
প্রবেশ করিতে দিতে অস্বীকার করিলেন। বৃটিশ মিশন পোলগভর্ণমেণ্টকে সমর্থন করিয়া বলিলেন,—অস্ত্র শস্ত্র দিয়া সাহায্য করিলেই চলিবে। পোল-গভর্ণমেণ্টের অস্বীকৃতির জন্যই হিটলার প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। ১৯৩৯-এর ১লা সেপ্টেম্বর হিটলার বাহিনী পোলাণ্ডে প্রবেশ করিল। বৃটেন ও ফ্রান্স ৩রা সেপ্টেম্বর, জার্ম্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিল।
নাৎসী বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পোল সৈন্যদল ছত্রভঙ্গ হইয়া গেল। পোলাণ্ডের অর্দ্ধ-ফাশিষ্ট শাসকশ্রেণীর জমিদার বাবুরা ধনরত্ন লইয়া পলায়ন করিলেন। পূর্ব্ব পোলাণ্ডকে হত্যা ও ধ্বংসের বিভীষিকা হইতে রক্ষা করিবার জন্য সোভিয়েট গভর্ণমেণ্টের আদেশে লাল পণ্টন অগ্রসর হইল। পোলাণ্ডের রাজধানীর দ্বারদেশে উভয় বাহিনী মুখোমুখী হইয়া দাঁড়াইল। ৫৫ ডিভিসন নাৎসী বাহিনী ১০২ ডিভিসন লাল পল্টনের সম্মুখীন—অতএব শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা হইয়া গেল। আরও কারণ এই যে, ১৯২০-এ বলপূর্ব্বক পোলাণ্ড, ইউক্রেন ও বাইলো রাশিয়ার অংশ বিশেষ অধিকার করিলেও, অধিবাসীরা পোলগভর্ণমেণ্টের বরাবর বিরোধী ছিল, তাহারা স্বেচ্ছায় সোভিয়েটের অন্তর্ভূক্ত হইল। সামরিক গুরুত্বের দিক হইতে কার্পেথিয়ান পর্ব্বতমালা পর্য্যস্ত সোভিয়েট সীমান্ত প্রসারিত করার প্রয়োজন ছিল। ইংলণ্ডের সংবাদপত্রগুলি “লাল-সাম্রাজ্যবাদের” ধুয়া তুলিয়া কোলাহল শুরু করিল। কিন্তু মিঃ চার্চ্চিল বলিলেন, ১৯১৯ সালে নির্দ্দিষ্ট (পোলাণ্ড সোভিয়েট রাশিয়া আক্রমণ করিবার পূর্ব্বে) “কার্জ্জন লাইন” পর্য্যন্ত অগ্রসর হইবার বৈধ অধিকার সোভিয়েটের আছে।
জার্ম্মানীর সাম্রাজ্যবিস্তারে ভীত লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়ার
১৬৪