পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

অধিবাসীরা ১৯৪০-এর নূতন নির্ব্বাচনে সোভিয়েট রাষ্ট্রসঙ্ঘে যোগ দিবার অনুকূলে শতকরা ৯৫টি ভোট দিল। পূর্ব্বাতন গভর্ণমেণ্টের ফাশিষ্ট জার্ম্মানবংশীয় জমীদারগণ জার্ম্মানীতে পালাইয়া গেলেন। জার্ম্মান গভর্ণমেণ্টের মধ্যস্থতায় সোভিয়েট জার্ম্মান অধিবাসীদের স্বদেশে ফিরিবার অনুমতি দিলেন। লাল নৌ-বহর রীগা, তাল্লিনের ঘাঁটি সুরক্ষিত করিল।

 ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির ষড়যন্ত্রে ফিনল্যাণ্ডের সীমান্ত লেলিনগ্রাড হইতে মাত্র ২১ মাইল দূরে বিখ্যাত “ম্যানারহাইম লাইন” নির্ম্মিত হইয়াছিল। এই দুর্ভেদ্য দুর্গমালা হইতে ভারী কামানের গোলা বর্ষিত হইলে লেলিনগ্রাডের ধ্বংস অনিবার্য্য। সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট বহুগুণে অধিক ভূমি ফিনল্যাণ্ডকে দিয়া মাত্র সামরিক গুরুত্বপূর্ণ কেরোলিন যোজক হইতে কিছু ভূমি চাহিলেন। কিন্তু ফিন-গভর্ণমেণ্ট এই সৌহার্দ্দ্যপূর্ণ প্রস্তাব প্রত্যাখান করিল। ফিন-নেতারা সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্রে পড়িয়া নির্ব্বোধের মত যুদ্ধে লিপ্ত হইল। তিন মাসের মধ্যেই বিশাল দুর্ভেদ্য দুর্গ ম্যানারহাইম লাইন ভাঙ্গিয়া পড়িল। বাহির হইতে সাহায্য না পাইয়া ফিন-গভর্ণমেণ্ট ১৯৪০-এর ১৬ই মার্চ্চ সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করিল। কিন্তু সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট সামরিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক হাত জমীও লইলেন না। ভাইবর্গসহ একখণ্ড ভূমি, যাহা লেনিনগ্রাড রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক, তাহাই মাত্র লইলেন, এবং বার্ষিক ৪ লক্ষ টাকা বৃত্তি দিয়া সামরিক নৌ-ঘাঁটি হ্যাঙ্গো ইজারা লইলেন।

 ১৯৪০-এর জুলাই মাসে সোভিয়েট রুমানিয়ার নিকট বেসারাবিয়া দাবী করিল। ১৯১৯ সালে এই প্রদেশটি ফিরাইয়া দিবার প্রতিশ্রুতি দিয়াও রুমানিয়ান গভর্ণমেণ্ট তাহা পালন করেন নাই। সোভিয়েট সীমান্ত সুদৃঢ়

১৬৫