ষ্ট্যালিন
করিবার জন্য ইহার প্রয়োজন ছিল। রুমানিয়া বেসারাবিয়া ও বুকোভিনা ছাড়িয়া দিল। জার্ম্মান সমরনায়কগণ তীব্র প্রতিবাদ করিলেন। পরবর্তীকালে নাৎসী “ব্লীৎস্ক্রীগ্” ঠেকাইতে ইহার সামরিক গুরুত্ব বোঝা গিয়াছিল।
বাহিরের জগৎ যখন ধনতন্ত্রীদের দালাল সংবাদপত্রগুলির প্রচার কার্য্যে বিভ্রান্ত হইয়া ভাবিতেছিল, জার্ম্মানীর সহিত মিলিয়া সোভিয়েটও যুদ্ধের সুযোগে রাজ্য জয় করিতেছে, তখন সোভিয়েট নেতারা জানিতেন যে, জার্ম্মানীর আসল লক্ষ্য সমাজতন্ত্রবাদের দুর্গ সোভিয়েটকে ধ্বংস করা এবং যে জন্য তাঁহারা প্রস্তুত হইবার জন্যই সীমান্ত সুদৃঢ় করার কার্য্য আরম্ভ করিয়াছিলেন। আক্রমণ করিব না, আক্রান্ত হইলে আত্মরক্ষা করিব ইহাই ছিল সোভিয়েটের নীতি।
ফ্রান্স পর্যু্যদস্ত পদানত— নরওয়ে হইতে ক্রীট হিটলারের করতলগত। হিটলার সামরিক সাফল্যের সর্ব্বোচ্চ শিখরে। নাৎসী বাহিনী এইবার মিশর ও ইংলণ্ডে অভিযান করিবে—সমগ্র জগত রুদ্ধশ্বাসে প্রতীক্ষমান। এমন সময় সহসা ১৯৪১-এর ২২শে জুন প্রায়ান্ধকার প্রভাতে বিশ্বাসঘাতক ও কৃতঘ্ন হিটলার, কোন ঘোষণা না করিয়া সোভিয়েট ভূমি আক্রমণ করিল। জার্ম্মান সমরনায়কগণ “পৃথিবীর ইতিহাসে অভিনব বিশাল শক্তিশালী বাহিনীর” সম্মুখীন না হইবার জন্য হিটলারকে পরামর্শ দিয়াছিলেন; কিন্তু হিটলার সম্মোহিত জার্ম্মানী জাতিকে শুনাইলেন, দশ সপ্তাহের মধ্যে লাল পণ্টন ভাঙ্গিয়া পড়িবে এবং ইউক্রেনের উর্ধ্বর ভূমির মালিক হইবে জার্ম্মানরা।
সমগ্র জগতে এই সংবাদ ছড়াইয়া পড়িল। পররাষ্ট্রসচীব মলোটভ মধ্যাহ্নে বেতারযোগে ঘোষণা করিলেন,—সোভিয়েট ভূমির অধিবাসীবৃন্দ,
১৬৬