ষ্ট্যালিন
সংগ্রাম। আমাদের স্বদেশ রক্ষার জন্য এই জাতীয় যুদ্ধের লক্ষ্য কেবল আমাদের দেশকেই মুক্ত করা নহে; জার্ম্মান ফাশিষ্ট প্রভুত্বে নিপীড়িত জনগণকে মুক্ত হইতেও আমরা সাহায্য করিব। এই স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা একক নহি। হিটলারের কুশাসনে ক্রীতদাসে পরিণত জার্ম্মান জনগণসহ ইউরোপ ও আমেরিকার জনগণ আমাদের মিত্র। আমাদের এই যুদ্ধ সমগ্র মানবজাতির মুক্তি ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার যুদ্ধে রূপান্তরিত হইবে।”
এই মহাযুদ্ধের ইতিহাস আলোচনা করিবার সময় এখনও আসে নাই। ষ্ট্যালিন প্রথমে প্রধান মন্ত্রী পরে সর্ব্বপ্রধান সেনাপতি নির্ব্বাচিত হইয়া মানব ইতিহাসের সর্ববৃহৎ যুদ্ধ আশ্চর্য্য সাফল্য ও কৃতীত্বের সহিত পরিচালনা করিতেছেন। ১৯৪২-এর নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি দিবসের অনুষ্ঠানে বিজয়ী লাল পণ্টনকে অভিনন্দিত করিয়া ষ্ট্যালিন বলিয়াছিলেন, “সমগ্র জগং আজ দুইটি পৃথক শিবিরে বিভক্ত। অক্ষশক্তির কার্য্যক্রম হইল জাতিগত বিদ্বেষ, বিধাতা মনোনীত জাতিদের আধিপত্য এবং সমস্ত সম্প্রদায় ও উপজাতির দাসত্ব, সমস্ত জাতির অর্থ নৈতিক দাসত্ব ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ। আমাদের কার্যক্রম হইল, পৃথিবীর সমস্ত জাতি ও উপজাতির সমান অধিকার এবং সমস্ত পরাধীন জাতির মুক্তি, জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্য বিলোপ; অনগ্রসর জাতিগুলিকে অন্যান্য জাতির অর্থনৈতিক সাহায্য দিবার অধিকার এবং পারস্পরিক মঙ্গলের জন্য সহযোগিতা এবং হিটলারী ফাশিষ্ট ব্যবস্থা ধ্বংস।”
জার্ম্মান বাহিনীর বিজয়োদ্ধত আক্রমণের পৈশাচিক বর্ব্বরতার বিরুদ্ধে লাল পণ্টন অটলোন্নত শিরে মানবমুক্তির সংগ্রামক্ষেত্রে দণ্ডায়মান হইল। উত্তর হিমমণ্ডল হইতে কৃষ্ণ সাগর পর্য্যন্ত সুদীর্ঘ রণাঙ্গনে, অন্ধকারের সহিত
১৬৯