পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নয়

 বাস্তববাদী ষ্ট্যালিনের চরিত্র ও জীবন নবীন রাশিয়ার আধুনিক ইতিহাসের সহিত অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। পর্ব্বত প্রমাণ বাধাকে অতিক্রম করিয়া যে জীবন বহু সাফল্যে মণ্ডিত তাহার সমগ্র চিত্র আজ জগতের সম্মুখে উদ্ঘাটিত; ইহার মধ্যে রহস্যময় বা গোপন কিছু নাই। ঈর্ষা-কাতর শত্রুদের সমস্ত মিথ্যা প্রচার কার্য্য ব্যর্থ করিয়া ষ্ট্যালিন আজ স্বমহিমায় সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁহার বয়স ৬৪ বৎসর অতিক্রম করিয়াছে কিন্তু এখনও তিনি নবীন যুবকের মত উৎসাহী ও নিরলস কর্ম্মা। জনৈক তরুণ সাম্যবাদী বলিয়াছেন, “প্রবীণ বলশেভিকদিগকে আমরা শ্রদ্ধা করিয়া থাকি তাহার কারণ তাঁহারা বয়সে প্রবীণ বলিয়া নহে, বয়স তাঁহাদিগকে বৃদ্ধ করিতে পারে নাই বলিয়া তাঁহারা শ্রদ্ধাভাজন।”

 ১৯১৭ সাল হইতে প্রত্যেক বৎসরে ষ্ট্যালিন যে সকল কাজ স্বীয় অনন্যসাধারণ কর্ম্মশক্তি বলে অবলীলাক্রমে সম্পন্ন করিয়াছেন সমসাময়িক জগতে তাহার দৃষ্টান্ত বিরল; অথচ তিনি সাফল্যের গর্ব্বে কখনও আত্মহারা হন না। কেহ তাঁহার সম্মুখে ঐ সকল প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলে তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন, “আমরা যাহা করিতে যাইতেছি তাহার তুলনায় ইহা কিছুই নহে।” রুশীয় ভাষায় ষ্ট্যালিন শব্দের অর্থ ‘ইস্পাত’। তাঁহার চরিত্র ইস্পাতের মতই কঠিন এবং সহজ-নমনীয়। তীক্ষ্ণবুদ্ধি, জ্ঞানের গভীরতা, তাঁহার চিন্তাপ্রণালীর আশ্চর্য্য শৃঙ্খলা এবং অগ্রগতির অদম্য স্পৃহা তাঁহাকে কখনও অলস থাকিতে দেয় না। দ্রুত সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার এবং ততোধিক ক্ষিপ্রতার সহিত তাহা কার্য্যে পরিণত

১৭২