ষ্ট্যালিন
আছেন ষ্ট্যালিন, অরজোনেকিজ, রয়কফ, লুডনফ, মলোটভ, ভরোশিলভ, কেগানোভিচ এবং পিয়াটিন্স্কি। ইহারা গৃহযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও ছোট ছোট কাহিনী লইয়া কৌতুকে প্রমত্ত ছিলেন। একজন জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তুমি যে ঘোড়া হইতে পড়িয়া গিয়াছিলে সে কথা মনে আছে?’...‘তুমি সেই নোংরা পশুটার কথা বলিতেছ? ওটা যে আমাকে কেন ফেলিয়া দিয়াছিল এখন পর্যন্ত আমি জানি না’...ইত্যাদি বলিতে বলিতে ষ্ট্যালিনের উচ্চহাস্য যৌবনের আবেগে উছলিত হইয়া উঠিল। আনন্দহীন কঠোর কর্ম্মজীবনের মধ্যে ক্ষণিক অবসরে বন্ধু সমাগমে ষ্ট্যালিন আনন্দে উচ্ছ্বসিত। একদিন যাহা ছিল ভয়ঙ্কর জীবন মরণ সমস্যা আজ সেই অতীত লইয়া তিনি অনায়াসে হাস্য পরিহাস করিলেন। লেনিনও এমনি উচ্চহাস্য করিতে পারিতেন। গোর্কী লিখিয়াছেন, “ভ্লাডিমির ঈলিচ (লেনিন) হাস্যকে সংক্রামক করিয়া তুলিতে পারে, এমন লোক আমি আর দেখি নাই। ইহা আশ্চর্য্য, কেননা যে অতি কঠোর বাস্তববাদী, যে মানুষ বৃহৎ সামাজিক বিয়োগাস্ত দুর্ঘটনাগুলি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখিয়াছে এবং গভীর ভাবে অনুভব করিয়াছে, ধনতান্ত্রিক জগতের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণায় যে মানুষের চিত্ত ভরপুর, সেই মানুষ এমন করিয়া হাসিতে পারে, হাসিতে হাসিতে তাঁহার শ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসে ইহা সত্যই অদ্ভুত।” এবং গোর্কী উপসংহারে বলিয়াছেন, “পরিপূর্ণ ও সবল মানসিক স্বাস্থ্য না থাকিলে এমন করিয়া মানুষ হাসিতে পারে না।”
যে শিশুর মত হাসিতে পারে, সে শিশুবৎসল ও সন্তানবৎসল না হইয়া পারে না। ষ্ট্যালিন তিনটি সন্তানের জনক। তাঁহার পত্নী নাদেজা এল্লিলুইভার মৃত্যুর পর (১৯৩২) তিনি স্বয়ং সন্তানদিগকে লালনপালন করিয়া থাকেন। এতদ্ব্যতীত ১৯২১ সালে এক দুর্ঘটনায় মৃত জনৈক
১৭৬