পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

শ্রমিকের পুত্র আর্টিয়ম শেরগুয়েফ তাঁহার গৃহে পুত্রবং প্রতিপালিত হইতেছে। ইহা ছাড়া বাকুতে বৃটিশ সৈন্যের গুলিতে নিহত জনৈক শ্রমিকের দুই কন্যাকেও তিনি পিতৃস্নেহ দিয়া লালনপালন করিতেছেন। আরও বহু বালক বালিকা তাঁহার স্নেহ ও আদর-যত্ন পাইয়া থাকে, বালকদের প্রতি তাঁহার অনুরাগের একটি দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করিতেছি। আর্ণল্ড ক্যাপ‍্লিন ও বোরিস গোল্ডষ্টিন নামক দুইটি বালক যথাক্রমে পিয়ানো ও বেহালা বাজনায় খ্যাতিমান হইয়া উঠিয়াছিল। একদিন ষ্ট্যালিন তাহাদের বাদননৈপুণ্য দেখিয়া মুগ্ধ হন এবং প্রত্যেককে তিন হাজার রুবল মুদ্রা পুরস্কার প্রদান করিয়া বলেন, “এখন তোমরা ক্যাপিট্যালিষ্ট হইয়া পড়িলে, আমাকে কি রাস্তায় দেখিয়া চিনিতে পারিবে?” এইরূপ রসিকতার একটি গল্প ডামিয়াম বিভ‍্ন বলিয়াছেন; “১৯১৭ সালের জুলাই মাসে আমি ও ষ্ট্যালিন প্রাভ‍্দা সংবাদপত্র সম্পাদন কার্য্যে ব্যাপৃত আছি, এমন সময় টেলিফোনের ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। ক্রোন‍্সটাড নাবিকেরা ষ্ট্যালিনকে জিজ্ঞাসা করিল, ‘আজিকার মিছিলে কি আমরা রাইফেল হাতে করিয়া যাইব?’ আমি উত্তর শুনিবার জন্য কৌতূহলী হইলাম। ষ্ট্যালিন বলিলেন, ‘রাইফেল? তোমরা যাহা ভাল বোঝ তাহাই করিবে। আমরা লেখক, আমাদের সঙ্গে সর্ব্বদাই পেন্সিল থাকে।’ মিছিলে দেখিলাম যে নাবিকেরা সকলেই পকেটে পেন্সিল লইয়া আসিয়াছে।”

 সে. যাহা হউক, প্রয়োজনমত তিনি ধীর ও শান্ত হইয়াও পড়েন। যখন বিখ্যাত লেখক এমিল্ লুডউইক তাঁহার মন্তব্য শুনিয়া বলিয়াছিলেন, “আপনি যে কত সঙ্গত কথা বলিলেন, সে সম্বন্ধে আপনার কোন ধারণা নাই।” ষ্ট্যালিন সহজ স্বরে বলিলেন, “কে জানে! সম্ভবতঃ আমার

১৭৭