ষ্ট্যালিন
সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করিয়া অন্ধভাবে অনুগমন করিবার মত লঘুচিত্ত ব্যক্তি ষ্ট্যালিন নহেন। একই বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত দুইটি মানুষের জীবন একই কর্ম্মধারার অনুসরণ করিয়াছে। বিশ্বাস জ্ঞানের উপর, বিশ্বাস চরম সামাজিক সুবিচারের উপর, বিশ্বাস সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর, বিশ্বাস জনসাধারণের সৃজনীশক্তির উপর—যে বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হইয়া একদিন লেনিন বলিয়াছিলেন, “আমরা আমাদের কম্যুনিষ্ট পার্টির উপর নির্ভর করিব।” ইহার মধ্যে আমরা দেখিতেছি, কর্ম্মের প্রেরণা, মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা ও ধ্রুব বিশ্বাস। ঠিক অনুরূপ বিশ্বাসের সহিতই ষ্ট্যালিন বলিয়াছেন, “শুধু মাত্র ইচ্ছা করিলেই কম্যুনিষ্ট পার্টির অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায় না, কেননা প্রত্যেকেই পরিশ্রম এবং তাহার সমস্ত যন্ত্রণা সহ্য করিতে পারে না।”
জনসাধারণের উপর ষ্ট্যালিনের বিশ্বাসই জনসাধারণকে অনুরূপ বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করিয়াছে। রাশিয়ার নূতন কলকারখানার মধ্য দিয়া এই বিশ্বাসের উৎসাহ ও আনন্দ নবসৃষ্টিকে প্রাচুর্য্যে ভরিয়া তুলিতেছে। রাশিয়ার বিপ্লবকে এবং সাম্যবাদী সমাজকে ষ্ট্যালিন অতীতে যেভাবে রক্ষা করিয়াছেন, ভবিষ্যতেও তিনি তাহাই করিবেন কেননা তিনি বিশ্বাস করেন, “মহামানবরা যখন ইতিহাসের গতি নিয়ন্ত্রন করিতেন সে যুগ চিরদিনের জন্য শেষ হইয়াছে।”
ষ্ট্যালিনের ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে আমরা অতি অল্পই আলোচনা করিয়াছি। যিনি যৌবনে বিপ্লবী হইয়া কারাগারে নির্ব্বাসনে এবং গুপ্তভাবে থাকিয়া অশ্রান্ত অশান্ত জীবন যাপন করিয়াছেন তাঁহার ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে আমরা অতি অল্পই জানি। নরনারীর প্রেম সম্পর্কিত ব্যাপারে অতি কৌতূহলী ইউরোপীয় লেখকগণ বহু রহস্যময় ও
১৭৯