ষ্ট্যালিন
গভর্ণমেণ্টের শাসন পরিষদের সদস্য। ষ্ট্যালিনের বয়স তখন ৩৮ বৎসর। এই সময়ে একদিন দেখা গেল যে শ্রমজীবি এলিউলেভের অষ্টাদশ বর্ষীয়া কন্যা নাদিজা এলিলুভলার সহিত ষ্ট্যালিন বিবাহ-রেজিষ্ট্রারের অফিসে উপস্থিত হইলেন এবং সোভিয়েট আইনানুসারে উভয়ের বিবাহ বিধিবদ্ধ করিলেন। বিবাহের পর ষ্ট্যালিনপত্নীকে আর বাহিরের কাজ-কর্ম্মে দেখা গেল না। কোন ভোজ বা উৎসবে ষ্ট্যালিনের পার্শ্বে মাঝে মাঝে তাঁহার পরমা সুন্দরী পত্নীকে দেখা যাইত। অনেকে ষ্ট্যালিনের বিবাহের বিষয় জানিতই না।
ষ্ট্যালিনেব বিবাহিত জীবন সুখী হইয়াছিল। বিবাহের পর তৃতীয় বর্ষে তাঁহাদের পুত্র জন্মগ্রহণ করে এবং তাহার পাঁচ বৎসর পরে ষ্ট্যালিন একটী কন্যা লাভ করেন। ইহার পর ষ্ট্যালিনপত্নী সাধারণে আত্মপ্রকাশ করিলেন। গুজব রটিল যে যেভাবে মলোটভ পত্নী রুশিয়ার প্রধানতম গন্ধদ্রব্য প্রস্তুতের কারখানার প্রধানা পরিচালিকা হইয়াছেন, ষ্ট্যালিনপত্নীও সেইরূপ কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ শীঘ্রই গ্রহণ করিবেন। ১৯২৯ সালে মিসেস্ ষ্ট্যালিন এক রসায়নাগারে ছাত্রীরূপে যোগ দিলেন এবং ক্বত্রিম রেশম প্রস্তুত বিদ্যা শিক্ষা করিতে লাগিলেন। সকলে জানিত যে তিনিই ষ্ট্যালিন-পত্নী। তিন বৎসর তিনি নিয়মিতরূপে ক্লাসে যোগ দিয়া বক্তৃতা শুনিছেন। কি অধ্যাপকগণ, কি মিসেস্ ষ্ট্যালিন উভয় পক্ষই কোন বিশেষ সুবিধা দেওয়া বা নেওয়ার বিরোধী ছিলেন। অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সহিত তাঁহার কোন পার্থক্য ছিলনা। একই প্রকার ধূসর বর্ণের পরিচ্ছদ পরিয়া তিনি অন্যান্যের সহিত মিলিত হইয়া কলে শ্রমিকের কাজ করিতেন এবং একই বেঞ্চে বসিয়া ছাত্রদের সহিত অধ্যাপকদের বক্তৃতা শুনিতেন।
১৮১