ষ্ট্যালিন
থাকেন। কিন্তু ষ্ট্যালিন তাঁহার স্ত্রীর মৃত দেহ শ্মশানে দাহ করিবার জন্য পাঠাইলেন না। এক প্রাচীন মঠে তিনি পত্নীর মৃতদেহ সমাধিস্থ করিলেন। অতি সাধারণ সমাধির উপর পুষ্পস্তবক ছাড়া দর্শকগণ আর কিছুই দেখিতে পান না।
ষ্ট্যালিন বাস্তববাদী। তিনি যখন রাষ্ট্রীয় কোন গুরুতর ব্যাপারে কোন বক্তৃতা বা বিবৃতি দান করেন তখন ফেনায়িত ভাষা ব্যবহার করেন না, অত্যুক্তি বর্জ্জিত সত্য কথাই কহেন। নূতন শাসনতন্ত্রানুযায়ী প্রথম নির্ব্বাচনের প্রাক্কালে মস্কৌর এক বৃহৎ নাট্যশালায় ষ্ট্যালিন বক্ততা করেন। তিনি স্বয়ং নির্ব্বাচন প্রার্থী ছিলেন। বিশাল জনতার মধ্যে ষ্ট্যালিন যখন বক্তৃতা করিবার জন্য দণ্ডায়মান হইলেন তখন মুহুর্মূহু জয়ধ্বনিতে প্রেক্ষাগৃহ মুখরিত হইয়া উঠিল। ষ্ট্যালিন জলদ-গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করিলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে কোন গণতন্ত্রী দেশে এমন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটদাতাদের ভোট দিবার অধিকার দেওয়া হয় নাই। ইতিহাসে এই দৃষ্টান্তের তুলনা নাই। ভোটদাতারা গোপনে ভোট দিবেন, নিরপেক্ষ ভাবে স্বাধীন চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করিবেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অবাধে স্বীয় মনোমত ব্যক্তিকে ভোট দিবেন ইহাই বড় কথা নহে, আসল কথা হইল যে এই সার্ব্বজনীন ভোটাধিকার নির্ব্বাচন কেন্দ্রে কোন প্রকার অনুরোধ উপরোধ বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দ্বারা খর্ব্ব হইবে না। গণতন্ত্রের এরূপ চরম অধিকার এ পর্য্যস্ত কোন দেশই দিতে পারে নাই।” ষ্ট্যালিনের বলিবার ভঙ্গী এইরূপ সরল ও স্পষ্ট। তিনি নিজের জন্য কোন আবেদন না করিয়া সোভিয়েট শাসনতন্ত্রের প্রশংসা করিলেন। তিনি জানেন কি ভাবে জনসাধারণকে উৎসাহে অনুপ্রাণিত করিতে হয় কিন্তু শুধুমাত্র
১৮৩