ডেমোক্রেটিক কমিটি বে-আইনী বলিয়া ঘোষিত হইল এবং শ্রমিক আন্দোলন সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপারই নিষিদ্ধ হইয়া গেল।
ষ্ট্যালিন দক্ষিণ জর্জিয়ার বাটুম্ আজারীস্থান প্রভৃতি অঞ্চলে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন এবং প্রত্যেক স্থানে কমিটি গঠন করিতে লাগিলেন। পুলিশ তাঁহার পিছু লইল এবং তাঁহার সহিত ভ্রাম্যমাণ গুপ্ত ছাপাখানাটী খুঁজিয়া বাহির করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। একদিন এক মিছিলের পুরোভাগে ষ্ট্যালিনকে দেখা গেল। পুলিশ সংবাদ পাইয়া জনতার গতিরোধ করিয়া গুলি চালাইল, ১৪ জন নিহত ৪৯ জন আহত এবং ১৫০ জন গ্রেপ্তার হইল। ষ্ট্যালিন তাঁহার গুপ্ত ছাপাখানা লইয়া সরিয়া পড়িলেন। নিকটবর্ত্তী এক মুসলমান কবরখানায় তিনি এবং তাঁহার সহকর্ম্মীরা সমবেত হইতেন ও গুপ্ত পরামর্শ করিতেন। একদিন কসাক্ সৈন্য সহ তাঁহার অনুসন্ধানরত পুলিশের হাতে ষ্ট্যালিনের ধরা পড়িবার উপক্রম হইয়াছিল। সৌভাগ্যক্রমে পার্শ্বে এক ভুট্টার ক্ষেত ছিল, তাহার মধ্যে প্রবেশ করিয়া ষ্ট্যালিন কোনমতে বাঁচিয়া যান। এই সময় কাসিম নামক জনৈক সরলহৃদয় মুসলমান কৃষকের সহিত তাঁহার পরিচয় হয়। এই বৃদ্ধ কৃষক এবং তাহার পুত্র ক্ষুদ্র ছাপাখানাটী ও কয়েক ভাঁড় সিসার অক্ষর তাহাদের বাড়ীতে লইয়া আসিলেন এবং ষ্ট্যালিনকে আশ্রয় দিলেন। ক্রমে বোর্খা পরিহিত কয়েকজন মুসলমান মহিলা গ্রামে দেখা দিলেন। ইহারা আসলে স্ত্রীলোক নহেন, স্ত্রীলোকের বেশে ছাপাখানায় কাজ করিতেন। কাসিম ক্রমে ষ্ট্যালিনের ভক্ত হইয়া পড়িলেন। তিনি বলিতেন, “আমি তোমাকে চিনিয়াছি, তুমি বীর, বজ্র ও বিদ্যুতের সহযোগে তোমার জন্ম। তুমি যেমন হৃদয়বান তেমনি কর্মী।” ইহার পরেই দেখা গেল কাসিম সকাল বেলায় পাগড়িটা পরিয়া বাহির হইয়া যান, তাঁহার মাথা