শাক্সব্জী ও ফলের ঝুড়ি। ঝুড়ির ভিতর ফলের নীচেই থাকিত গুপ্ত ইস্তাহার এবং প্রচার পুস্তিকা। তিনি সহরের কারখানার দরজায় গিয়া ফল ও সব্জী বিক্রয় করেন এবং বাছা বাছা লোকের হাতে নিষিদ্ধ কাগজে মোড়া ফল তুলিয়া দেন। কাসিমের বাড়ীর যে ঘরে ছাপাখানা চলিত তাহার শব্দ ক্রমে গ্রাম্য কৃষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। তাহারা বলাবলি করিতে লাগিল কাসিমের ঘরে বসিয়া সোসো টাকা জাল করিতেছে। জাল টাকা তৈয়ারী করা অত্যন্ত কঠিন কাজ, সহজেই কৃষকেরা চমৎকৃত হইল। একদিন সন্ধ্যায় তাহারা আসিয়া ষ্ট্যালিনকে বলিল, “তুমি জাল টাকা তৈয়ারি করিতেছ, অবশ্য আমাদের মত গরীবের পক্ষে কাজটা একেবারে মন্দ নহে। ইহাতে আমাদেরও কোন বিপদের সম্ভাবনা নাই; কিন্তু তুমি টাকা চালাইবার কি ব্যবস্থা করিতেছ?”
ষ্ট্যালিন উত্তর দিলেন, “আমি জাল টাকা তৈয়ারি করি না, একটা ছোট ছাপাখানায় তোমাদেরই দুঃখ দুর্দশার কথা লেখা বই ছাপাই।”
কৃষকেরা আনন্দিত হইয়া বলিল, “বড় আনন্দের সংবাদ, টাকা তৈয়ারীর ব্যাপারে আমরা তোমাকে কোন সাহায্যই করিতে পারিতাম না, আমরা উহা জানিও না, কিন্তু আমাদের দুঃখের কথা আমরা বুঝি। আমরা তোমাকে কৃতজ্ঞতার সহিত সাহায্য করিব।”
এইখানে ১৯১৭ সালের একটা কথা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। কাসিম তাহার বাগানে সেই গুপ্ত ছাপাখানাটি পুঁতিয়া রাখিয়াছিল। ১৯১৭ নভেম্বর বিপ্লব অবসানে সে যখন গৃহে ফিরিয়া আসিল, তখন দেখিল যে সৈনিকেরা তাহার গৃহ অধিকার করিয়াছিল তাহারা ছাপাখানাটী বাহির করিয়া ইতস্ততঃ ছড়াইয়া রাখিয়া গিয়াছে। কাসিম সযত্নে খণ্ডগুলি