একত্র করিয়া সগর্ব্বে তাঁহার পুত্রকে দেখাইয়া বলিয়াছিলেন, “দেখ বাবা এই ছোট যন্ত্রটা দিয়াই প্রথম বিপ্লব আরম্ভ হয়।”
এইবার ১৯০২ সালের এপ্রিল মাসে ফিরিয়া আসা যাউক। একদিন ষ্ট্যালিন এক বন্ধুর আলয়ে বসিষা ধূমপান করিতেছেন এমন সময় পুলিস বাড়ী ঘিরিয়া ফেলিল। ষ্ট্যালিন প্রশান্ত চিত্তে বসিয়া ধূমপান করিতে লাগিলেন। আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় ছিল না। ষ্ট্যালিন গ্রেপ্তার হইয়া বাটুমে কারারুদ্ধ হইলেন। পরে তাঁহাকে কুটাইস জেলে বদলী করা হয়। এই জেলে কয়েদীদের ধর্ম্মঘটের নেতৃত্ব করায় ষ্ট্যালিন সাইবেরিয়ার ইরখুটস্ক প্রদেশে নির্ব্বাসিত হইলেন। জারতন্ত্র সাইবেরিয়ার জনবিরল সুবিস্তীর্ণ গিরি-অরণ্য, নদী-কান্তারে দুর্গম প্রদেশের অর্থ নৈতিক উন্নতির কোন চেষ্টা করে নাই, স্থানে স্থানে শুধু বন্দীশালা এবং কয়েদীদের উপনিবেশ (আন্দামানের মত) স্থাপন করিয়াছিল। এখানে জারীয় পুলিস ও কারারক্ষীরা বন্দীদের প্রতি অমানুষিক অত্যাচার করিত। বন্দীশিবির হইতে পলায়ন এবং মৃত্যুবরণ একই কথা ছিল।
তথাপি একদিন দেখা গেল সৈনিকের পোষাক পরিহিত এক যুবক বাটুমে উপস্থিত হইয়াছেন। পুলিসের পাহারা এড়াইয়া মধ্য এশিয়ার দুর্গম গিরি অরণ্য অতিক্রম করিয়া যিনি আসিয়াছেন তিনি আর কেহ নহেন—ষ্ট্যালিন। ষ্ট্যালিনের চিরশত্রু “বৈপ্লবিক সমাজতন্ত্রী” সাইমম্ ভেরেশচাক ১৯০৩ খৃষ্টব্দে লিখিয়াছেন—তিনি ১৯০৩ সালে ষ্ট্যালিনের সহিত বাকু জেলে ছিলেন। চারিশত কয়েদীর জন্য তৈয়ারী ঐ জেলে পনরশত কয়েদীকে খোঁয়াড়ের পশুর মত আটকাইয়া রাখা হইয়াছিল। একদিন বলশেভিকদের জন্য নির্দ্দিষ্ট সেলে একটী নূতন মুখ দেখা গেল। সকলেই বলাবলি করিতে লাগিল কোবা