হইলেন। সাম্যবাদ যে বিপ্লবে রূপান্তরিত হইয়া প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ইহা লেনিনের প্রতিভার এক অপূর্ব্ব দান। অবশ্য তিনি পূর্ব্ব-নির্দ্দিষ্ট কোন প্রণালীবদ্ধ কর্ম্মপদ্ধতি বলশেভিকদের গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন নাই। দলকে যন্ত্রবং পরিচালনা করিতে তিনি কখনই প্রয়াসী হন নাই। তবে রাজনীতিক্ষেত্রে তথাকথিত শিথিল উদারনীতি সযত্নে পরিহার করিয়া তিনি অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়াছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে লেনিন যেমন শ্রমজীবিশ্রেণীর বিপ্লব চিন্তা করিয়াছেন, তেমনি কৃষিপ্রধান রাশিয়ার আড়াই কোটী কৃষক পরিবারের অর্থ নৈতিক মুক্তিও তিনি ভোলেন নাই। ১৯০০ খৃষ্টাব্দে কৃষকদের পক্ষ হইতে লেনিন দাবী করিয়াছিলেন মধ্যযুগীয় নিয়ম কানুনের অবসান এবং কৃষকদিগকে অত্যধিক অর্থপ্রদানের জন্য পীড়নের নীতির পরিবর্ত্তন। জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ করিয়া কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতা স্থাপন এবং এই মিলিত শক্তির সহায়ে বিপ্লবকে বাস্তবে পরিণত করার পরিকল্পনা লইয়াই লেনিন রাশিয়ার জনসাধারণকে মার্ক্সবাদের দিকে আকৃষ্ট করিয়াছিলেন। প্রথম হইতেই তিনি মধ্যশ্রেণীর বিপ্লবের বিরোধী ছিলেন এবং মেনশেভিকদিগকে বারংবার বলিয়াছেন, সামন্ততান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদী জারের ক্ষমতা মধ্যশ্রেণীর হাতে আসিলে জনসাধারণের অবস্থার বিশেষ কোন পরিবর্তন আসিবে না।
যখন এইভাবে আদর্শ ও কর্ম্মনীতির সংঘাত চলিতেছিল সেই সময় একদিন ষ্ট্যালিন লেনিনের সাক্ষাৎ লাভ করিলেন। ট্যালিন লিখিয়াছেন, “১৯০৩ সালে আমার সহিত প্রথম লেনিনের পরিচয় ঘটে। আমি তাঁহাকে না দেখিলেও আমাদের পরস্পরের মধ্যে পত্রালাপ হইত। লেনিনের প্রথম পত্র যেদিন আমার হাতে আসে সেই চিরস্মরণীয় ঘটনা