সঞ্জীবিত করিয়াছেন তাঁহাদের প্রথম মিলন রাশিয়ার ইতিহাসে, এমন কি পৃথিবীর ইতিহাসেও এক চিরস্মরণীয় ঘটনা।
সর্ব্বদেশে যুদ্ধ বিপ্লবীদের নিকট এক সুযোগ। লেনিন বলিতেন, “লাঠি হাতে লইয়া কৃষকদের বিদ্রোহ জারের সিংহাসন ভাঙ্গিয়া ফেলিতে পারিবে না। প্রবন্ধ লিথিয়া এমন কি সার্ব্বজনীন ধর্ম্মঘট করিয়া সাফল্য লাভ করা যাইবে না। একদল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তি ক্ষমতা কাড়িয়া লইতে পারে।” তখন রুশ-জাপান যুদ্ধে লিপ্ত জার দ্বিতীয় নিকোলাসের নির্ব্বোধ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে, মাঞ্চুরিয়া গ্রাস করিতে গিয়া জাপানের নিকট পরাজিত রুশ সাম্রাজ্যের গরিমা হতমান। সমগ্র রাশিয়ায় বিশেষভাবে যুবকেরা একটা বিপ্লবের প্রতীক্ষায় উদ্গ্রীব; ধর্ম্মঘট, অশান্তি, সৈন্যদলে বিদ্রোহ দেখা দিয়াছে; নিরুপায় জার বাধ্য হইয়া একটা শাসনতন্ত্র মঞ্জুর করিয়াছেন। অন্যদিকে কসাক সৈন্যদের দিয়া শাসকগণ জনসাধারণকে ভীত ও নিরস্ত করিবার জন্য অতি কঠোর দমননীতি অবলম্বন করিলেন। এই অকস্মাৎ জাগ্রত বিদ্রোহ, বিপ্লবের জন্য বলশেভিক দল প্রস্তুত ছিলেন না। যাঁহাদের হাতে প্রধান প্রধান শ্রমিক সঙ্ঘগুলি ছিল সেই মেনশেভিক নেতৃত্বের ভুল ত্রুটি ও ভীরুতার জন্য ১৯০৫ সালের বিদ্রোহ বিশৃঙ্খল ও ছত্রভঙ্গ হইয়া পড়িল। জার গভর্ণমেণ্ট দেশব্যাপী ভীতির বিভীষিকা দ্বারা উহা দমন করিয়া ফেলিলেন। এই বিপ্লব এবং তাহার দমননীতি যে আতঙ্ক ও নৈরাশ্যের সৃষ্টি করিল তাহা হইতে বলশেভিক নেতারা অনেক শিক্ষালাভ করিলেন।
১৯০৫ খৃষ্টাব্দের ২২শে জানুয়ারী ফাদার গ্যাপন্ নামক একজন খৃষ্টান পাদ্রীর নেতৃত্বে সেণ্টপিটার্স্বার্গের শ্রমজীবিরা মিছিল করিয়া জারের উইণ্টার প্যালেসের সম্মুখে উপস্থিত হয়। তাহাদের উদ্দেশ্য