একত্রিত হইলেন। লেনিন এই কংগ্রেসে উপস্থিত করিবার প্রস্তাব সহ গোপনে পিটার্সবার্গে চলিয়া আসিলেন। যদিও মেনশেভিকদের মতামত জানাই ছিল, তথাপি তিনি আশা করিয়াছিলেন, বিপ্লবের নূতন সম্ভাবনা তাহাদিগকে উৎসাহ দিবে এবং তাহারা বলশেভিকদের সহিত মিলিত হইবে। টিফ্লিস্ বলশেভিক দলের প্রতিনিধিরূপে ষ্ট্যালিন “ঈভানোভিচ” এই ছদ্ম নামে ছাড়পত্র লইয়া কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কিন্তু অধিবেশন আরম্ভ হইলে দেখা গেল, মেনশেভিক নেতারা প্রতি-বিপ্লবী প্রস্তাব লইয়া আসিয়াছেন। প্লেখানভ, এক্সেলরড্, মার্টভ প্রভৃতি প্রভাবশালী নেতাদের অপূর্ব্ব বাগ্মীতা সত্ত্বেও লেনিন ধীরভাবে বিশ্লেষণ করিয়া তাঁহাদের যুক্তির অসারতা প্রতিপন্ন করিলেন। লেনিনের পার্শ্বে দাঁড়াইয়া ষ্ট্যালিন মেনশেভিকদের গণশক্তি বিরোধী সুবিধাবাদের নীতি নির্ম্মমভাবে উদ্ঘাটিত করিলেন।
ষ্ট্যালিন তাঁহার একটি বক্তৃতায় বলিলেন,—“বিপ্লব শক্তি সঞ্চয় করিয়া মাথা তুলিতেছে, আমাদের কর্ত্তব্য ইহাকে পূর্ণ পরিণতির দিকে অগ্রসর করিয়া দেওয়া। কিন্তু কি অবস্থার মধ্যে আমরা উহা করিতে পারিব অথবা করা উচিত হইবে—গণশক্তির আধিপত্য মানিয়া না মধ্যশ্রেণীর (বুর্জোয়া) গণতন্ত্রের বশ্যতা স্বীকার করিয়া? এইখানেই আমাদের মূলনীতির পার্থক্যের আরম্ভ। কমরেড্ মারটিওনভ (মেনশেভিক) তাহার “দুই একনায়কত্ব” প্রবন্ধে বলিয়াছেন, বর্ত্তমান মধ্যশ্রেণীর বিপ্লবে প্রলেটারিয়েট বা গণশক্তির সর্ব্বময় প্রস্তুত্ব বিপজ্জনক কল্পনা।’ গতকল্যের বক্তৃতায় তিনি এই কথাই বলিয়াছেন। এই বক্তৃতা শুনিয়া যে সকল প্রতিনিধি হর্ষধ্বনি করিয়াছেন, তাঁহারা ঐ মত পোষণ করেন ইহা আমি ধরিয়া লইতেছি। যদি তাহাই হয়, যদি