এক প্রধান শিল্পকেন্দ্র—তৈলের খনি ছাড়াও এখানে বহু সংশ্লিষ্ট কারখানা ছিল। বাকুর শ্রমিকগণের মধ্যে রাশিয়ান, আজারবাইজান, জর্জিয়ান, আরমেনিয়ান, পারসীক প্রভৃতি বিভিন্ন জাতির লোক ছিল— ধর্ম্মের দিক দিয়াও ইহারা খৃষ্টান, ইহুদী ও মুসলমান এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। সহরের বাহিরের পল্লী অঞ্চলের আজারবাইজান কৃষকেরা রুষ ঔপনিবেশিক ও আরমেনিয়ানদের ঘৃণা করিত। জার গভর্ণমেণ্টের কর্ম্মচারীরা এই সাম্প্রদায়িক ও জাতি বিদ্বেষে ইন্ধন জোগাইতেন। গভর্ণমেণ্টের ভেদ নীতির ফলে দাঙ্গাহাঙ্গাম। হত্যাকাণ্ড প্রায়ই অনুষ্ঠিত হইত। বাকুর তৈলের খনিগুলিতে আন্তর্জ্জাতিক মূলধন খাটিত। রথচাইল্ড, বৃটিশ, রাশিয়ান বিভিন্ন শ্রেণীর মূলধনীরা খনির মালিক—— বৈদেশিক মূলধনই অধিক। এমন বহু বিরুদ্ধ স্বার্থের কেন্দ্রে সুবিধাবাদী, জাতীয়তাবাদী, মেনশেভিক প্রভৃতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কর্ম্মীর অস্তিত্ব অবশ্যম্ভাবী এবং ইহাদের অধিকাংশই বিদেশী ধনীদের গুপ্তচর।
এই অবস্থার মধ্যে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক শক্তিকে বৈপ্লবিক বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে আনয়নের দায়িত্ব লইয়া ষ্ট্যালিন কর্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। মেনশেভিক ও সন্ত্রাসবাদী নেতাদের সুবিধাবাদীসুলভ কার্য্যকলাপ উদ্ঘাটন এবং শ্রমিকদিগকে সুস্পষ্ট বৈপ্লবিক মতবাদের ভিত্তিতে সঙ্ঘবদ্ধ করিবার জন্য পার্টির পক্ষ হইতে ষ্ট্যালিন বেআইনী সংবাদপত্র “বাকু প্রলেটারিয়েট” সম্পাদনা করিতে লাগিলেন। স্বয়ং গুপ্তভাবে বিভিন্ন শ্রমিক কেন্দ্রে অবস্থান করিয়া একের পর আর মেনশেভিক ঘাঁটিগুলি উচ্ছেদ করিতে লাগিলেন। দুই মাসের মধ্যেই বহু সোশ্যাল ডেমোক্রাট বাকুর বলশেভিক পার্টিতে যোগদান করিল। পার্টির নেতৃত্বে বাকুর শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে কতকগুলি আপোষ