কারাগারে থাকিয়াও তিনি কৌশলে পার্টির কাজের নির্দ্দেশ দিতেন এবং “বাকু প্রলেটারিয়েট” পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখিতেন। রাজনৈতিক বন্দীদের মধ্যে একমাত্র বলশেভিকরাই তাহাদের পার্টি সদস্যদের মারফৎ বাহিরের সহিত যোগাযোগ রক্ষায় সমর্থ হইতেন। বাকু জেল হইতে ষ্ট্যালিন দুই বৎসরের জন্য ভোলগদা প্রদেশে নির্ব্বাসিত হইলেন। কিন্তু ১৯০৯-এর গ্রীষ্মকালে তিনি পুলিশের চক্ষে ধূলা দিয়া বাকুতে ফিরিয়া আসিলেন এবং ট্রান্স ককেশিয়ায় বলশেভিক পার্টিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার কাজে আত্মনিয়োগ করিলেন। মেনশেভিকদিগের প্রতিবিপ্লবী কার্য্যকলাপ খর্ব্ব করিবার জন্য তিনি অক্টোবর মাসে টিফ্লিসে আসিলেন। তাঁহার প্রেরণায় স্থানীয় বলশেভিক পার্টি হইতে “টিফ্লিস্ প্রলেটারিয়েট” পত্রিকা প্রকাশিত হইল। প্রথম সংখ্যায় ষ্ট্যালিন সম্পাদকীয় প্রবন্ধে লিখিলেন,—
“মহান রুশ বিপ্লব মরে নাই—ইহা জীবিত। ইহা সাময়িকভাবে পশ্চাদপসরণ করিয়াছে, এবং ভবিষ্যতের বিপুল উদ্যমের জন্য শক্তি সঞ্চয় করিতেছে।
“বিপ্লবের প্রধান অগ্রদূত শ্রমিক ও কৃষক সচেতন ও অক্ষত; তাহাদের মুখ্য দাবীগুলি তাহারা ত্যাগ করে নাই, করিতে পারে না......
“আমরা এক অভিনব আলোড়নের সম্মুখীন হইয়াছি। জারীয় শাসন উৎখাত করিবার পুরাতন সমস্যা, আমাদের সম্মুখে উপস্থিত।
“জনসাধারণের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আসন্ন গৌরবময় সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়া আমাদের এবং প্রগতিশীল শ্রমিকদের একমাত্র কর্ত্তব্য।