মধ্যে যে সাপ লুকাইয়া রাখিয়াছিল আমরা তাহা প্রকাশ্য দিবালোকে বাহির করিয়াছি—যাহাতে উহা সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। এখন আমরা উহাকে হত্যা করিব।” লেনিন দলের মধ্যে দৌর্ব্বল্য ও দ্বিধা প্রতিরোধ করিলেন। সংক্রামক ব্যাধির মত যে রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ছড়াইয়া পড়িবার উপক্রম হইয়াছিল তাহা প্রতিষেধ করিতে লেনিনের মত প্রতিভাবান ক্ষমতাশালী নেতার প্রয়োজন যে কত অধিক তাহা বলশেভিক নেতারা বুঝিতে পারিলেন।
ষ্ট্যালিন তাঁহার অনুপম কৌশলে ১৯১১ সালে কারাগার হইতে পলায়ন করিয়া সেণ্টপিটার্সবার্গে উপস্থিত হইলেন। তিনি পুনরায় ধরা পড়িলেন, পুলিস তাঁহাকে ভোলক্দায় নির্ব্বাসিত করিল। নির্ব্বাসন হইতে তিনি পুনরায় সেণ্টপিটার্সবার্গে পলাইয়া আসিলেন এবং গুপ্তভাবে থাকিয়া মেনশেভিক এবং সন্ত্রাসবাদীদের অপচেষ্টা ব্যর্থ করিতে লাগিলেন। তিনি নানাস্থানে অবিশ্রান্ত ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, দলের অনুগত সঙ্ঘগুলিকে শক্তিশালী করিতে লাগিলেন, একখানি সংবাদপত্র সম্পাদনা করিতে লাগিলেন। এইকালে রাশিয়ার বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘প্রাভ্দার’ তিনি অন্যতম সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ অবশেষে তাঁহাকে খুঁজিয়া বাহির করিল এবং পুনরায় নির্বাসনে পাঠাইয়া দিল। তিনি রক্ষী পুলিসদলকে বেকুব বানাইয়া পুনরায় সরিয়া পড়িলেন।
শরৎকালে তিনি রাশিয়ার বাহিরে গিয়া লেনিনের সহিত কয়েক দিন অবস্থান করিলেন। এই কালে রাশিয়া ও ফ্রান্সের সহিত কূটনীতিক পরামর্শ চলিতেছিল। এক দিকে পোঁয়্যাকারে, অন্যদিকে রাশিয়ার ‘নীতিহীন’ ঈস্ভলস্কি ষড়যন্ত্র করিতেছিলেন এবং এই ষড়যন্ত্রের কথা পরে প্রকাশ পাওয়ায় বুঝা গিয়াছিল যে মহাযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ