পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষ্ট্যালিন

এই ফ্রাঙ্কো-রাশিয়ান আঁতাৎ। রাশিয়ার অভ্যন্তরেও এই সময় বিপ্লব আন্দোলন নবীন প্রেরণা লাভ করিল। সাইবেরিয়ার লেনা সোণার খনির শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপর এবং জনসাধারণের উপর গুলীবর্ষণ করিয়া পুলিশ পাঁচশত লোককে হত্যা করিল (১৯১২) এবং এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদ সমগ্র দেশে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করিল বিপ্লবী বলশেভিকরা তাহাব সুযোগ পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করিলেন। লেনিনষ্ট্যালিন বৈধ এবং অবৈধ উভয়পন্থার সুযোগ গ্রহণ করিলেন এবং মেনশেভিক দলের সহিত ঐক্যের আলেয়ার পশ্চাতে ধাবিত হইয়া অপঘাতের গহ্বরে অপমৃত্যু হইতে দলকে রক্ষা করিলেন। আজ অনেক কালের ব্যবধানে আমরা সুসংবদ্ধ ঐতিহাসিক ঘটনাবলী হইতে যেমন সহজে বুঝিতে পারি যে লেনিন তাঁহার দলকে সম্যক পথেই পরিচালিত করিয়াছিলেন কিন্তু সে দুর্দ্দিনে তাহা হৃদয়ঙ্গম করা এত সহজ ছিল না। লেনিনষ্ট্যালিন বিপ্লবের সাফল্যে এত বেশী বিশ্বাসী হইয়া উঠিলেন যে তাঁহারা ভবিষ্যতের সোভিয়েট শাসনতন্ত্রের পরিকল্পনা প্রচার করিতে লাগিলেন। ষ্ট্যালিন সমাজতন্ত্রবাদ ও বিভিন্ন জাতিগুলির বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্যের সমন্বয় কিরূপে সম্ভবপর সে সম্বন্ধে কতকগুলি গবেষণাপূর্ণ প্রবন্ধ লিখিলেন। বহু ভাষাভাষী এবং বহু জাতি অধ্যুষিত রুশ সাম্রাজ্যে সমাজতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে এই বৃহৎ সমস্যা সমাধান করিতে হইবে ষ্ট্যালিন ইহা বুঝিয়াছিলেন। তাঁহার এই প্রবন্ধগুলি পরবর্ত্তীকালে ‘মার্কসবাদ ও জাতীয়তার সমস্যা’ নামক পুস্তকে একত্র হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে। জার গভর্ণমেণ্ট বিপ্লবীদের পুস্তিকা ও সংবাদপত্র বাজেয়াপ্ত করিতে লাগিলেন। ‘প্রাভদা’ পত্রিকা বন্ধ হইয়া গেল। ষ্ট্যালিন ও মলোটভ

৪১