বার্ণে গ্রামে ছিলেন। তাহার পর তিনি ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের পূর্ব্ব পর্য্যন্ত জুরিকে ছিলেন। যুদ্ধ আরম্ভ হইবার পর লেনিন প্রথম হইতেই মার্কসীয় বিপ্লববাদের দিক হইতে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার কার্য্য করিতে লাগিলেন। ১৯১৪ সালের পহেলা নভেম্বর লেনিন কেন্দ্রীয় বলশেভিকদের পক্ষ হইতে “যুদ্ধ ও রুশীয় সোশ্যাল ডেমোক্রেসী” নামক এক ঘোষণাপত্র প্রচার করেন। যুদ্ধের প্রারম্ভেই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সঙ্ঘে সমাজতন্ত্রিগণ অধিকাংশের ভোটে সিদ্ধান্ত করেন যে, জাতীয় আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধে যোগ দিতে হইবে। ধনিকশ্রেণী ও জাতীয় সাম্রাজ্যবাদের সহিত শ্রমজীবিদের ঐক্যের প্রয়োজন। ইউরোপের মহাযুদ্ধের উন্মাদনায় সমাজতন্ত্রিগণ যখন আন্তর্জ্জাতিক নীতি বিসর্জ্জন দিয়া স্ব স্ব দেশের যুদ্ধ প্রচেষ্টার সহিত যোগ দিলেন, তখন মুষ্টিমেয় বলশেভিক বিপন্ন হইয়া পড়িলেন, আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাস রক্ষা করা কঠিন হইয়া উঠিল। লেনিন বহুমতের স্রোতে গা ঢালিয়া দিতে অস্বীকার করিলেন। সমগ্র মানব জাতির মুক্তির স্বপ্নে বিভোর মুষ্টিমেয় সহকর্ম্মী লইয়া তিনি পূর্ব্বোক্ত ঘোষণাপত্রে প্রচার করিলেন, “সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের সূচনাতেই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ ভাঙ্গিয়া পড়িল, মার্কস্পন্থী বিপ্লবীরা দলের আদর্শ বিসর্জ্জন দিয়া বুর্জ্জোয়া শ্রেণীর সহিত যোগ দিয়াছে। এই বিচ্ছেদকে সম্পূর্ণভাবে আমাদের স্বীকার করিতে হইবে। সুবিধাবাদী ও যুদ্ধরত সমাজতন্ত্রীদের বাদ দিয়া আমাদিগকে এক নূতন বৈপ্লবিক আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ গড়িতে, হইবে।” সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধে পরিণত কর এবং জারতন্ত্রের পরাজয় কামনা কর, এই বাণী তিনি রাশিয়ার সর্ব্বত্র প্রচার করিলেন এবং বলিলেন, এক মাত্র বলশেভিকেরাই খাঁটী সমাজতন্ত্রী এবং তাহারাই সংশয় সন্দেহে অথবা প্রলোভনে আত্মহারা না হইয়া বর্ত্তমান
পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষ্ট্যালিন
৪৭