পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

 “স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের শত্রুদিগকে বিষণ্ণ করিয়া তোমাদের জয় পতাকা উর্দ্ধে আন্দোলিত হউক।

 “...তোমাদের আহ্বান—বিপ্লবের সৈনিকদিগের আহ্বান সমগ্র জগতে প্রতিধ্বনিত হইয়া নিপীড়িত ও শৃঙ্খলিত জনগণকে আনন্দিত করুক।

 “শ্রমিক! সৈনিক! বাহুতে বাহু বাঁধিয়া সমাজতন্ত্রের পতাকা উড়াইয়া যাত্রা কর।”

 মধ্যশ্রেণীর গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে রাজধানীতে ইহাই সর্ব্বপ্রথম সঙ্ঘবদ্ধ রাজনৈতিক বিক্ষোভ। লক্ষ লক্ষ নরনারী রক্তপতাকা হস্তে রাজপথ মুখরিত করিয়া সমুচ্চকণ্ঠে বলিতে লাগিল,—“ধনিক শ্রেণীর দশজন মন্ত্রীর নিপাত হউক;” “সমস্ত ক্ষমতা শ্রমিক, সৈনিক ও কৃষকদের ডেপুটি দ্বারা গঠিত সোভিয়েটের হাতে আসুক।”

 কেন্দ্রীয় পার্টি শ্রমিকদের সঙ্ঘবদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সৈন্যদলে পার্টির আদর্শ প্রচার করিতে লাগিলেন। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধক্ষেত্র হইতে সৈন্যদিগকে ফিরাইয়া আনিয়া নূতন সৈন্যদল গঠনের কাজ বলশেভিকদের পক্ষে সহজ ছিল না। বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের লোক লইয়া গঠিত সৈন্যদলের মধ্যে খাঁটি রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভ ছিল। বলশেভিক পার্টির নেতারা পার্টির সমরবিভাগের এক সম্মেলন আহ্বান করিলেন। সংখ্যালঘিষ্ঠ জাতিগুলির দ্বারা গঠিত সৈন্যদলের মধ্যে ঐক্য স্থাপনকল্পে ষ্ট্যালিনের নিম্নলিখিত প্রস্তাবটি সর্ব্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইল—

 “এই সম্মেলনের সুদৃঢ় বিশ্বাস এই যে, বিভিন্ন জাতিগুলির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্থায়িভাবে স্বীকার—কেবল বাক্য দ্বারা নহে কার্য্য দ্বারা অঙ্গীকার করিয়াই রাশিয়ার বিভিন্ন জাতিগুলির মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক

৫৪