ষ্ট্যালিন
একদিকে বলশেভিক পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাব, অন্যদিকে কেরেনেস্কীর দুর্ব্বলতায় সেনাপতি কর্ণিলভ বিদ্রোহ করিলেন। প্রতিবিপ্লবী সেনাপতিদের বিদ্রোহের ফলে গৃহযুদ্ধে বিপ্লবের সমূহ ক্ষতি হইবে মনে করিয়া বলশেভিক পার্টি ইহার প্রতিরোধ করিতে প্রস্তুত হইল। “আমাদের দাবী” শীর্ষক ঘোষণাপত্রে ষ্ট্যালিন প্রচার করিলেন—
“বর্ত্তমান কোয়ালিশান গভর্ণমেণ্টের সহিত কর্ণিলভ দলের যে সংগ্রাম তাহা বিপ্লবের সহিত প্রতিবিপ্রবের সংগ্রাম নহে। উহা প্রতিবিপ্লবের দুইটি পৃথক উপায় মাত্র। কর্ণিলভ দল বিপ্লবের শত্রু এবং রীগা শত্রু-হস্তে অর্পণ করিয়া ইহারা পেট্রোগ্রাডে আসিতেছে পুরাতন শাসনবাবস্থা ফিরাইয়া আনিবার জন্য।”
ষ্টালিনের আবেদনে বৈপ্লবিক শ্রমিকশক্তি কর্ণিলভকে বাধা দিবার জন্য প্রস্তুত হইল। ২৫শে আগষ্ট কর্ণিলভ অভিযান শুরু করিলেন। পেট্রোগ্রাড ও ভাইবর্গের শ্রমিকেরা নগর রক্ষায় রুখিয়া দাঁড়াইল। বলশেভিক প্রচারকেরা কর্ণিলভের অগ্রগামী সৈন্যদলকে ছত্রভঙ্গ করিয়া বিপ্লবীদের পক্ষে যোগদান করাইল। যুদ্ধই হইল না। কর্ণিলভ-বিদ্রোহ দমন শ্রমিকশক্তির প্রথম বাস্তব সাফল্যের অভিজ্ঞতা। উৎসাহিত হইয়া বলশেভিক পার্টি সৈনিক, শ্রমিক এবং দরিদ্র কৃষকদিগকে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের জন্য প্রস্তুত করিতে লাগিল। লেনিন কেন্দ্রীয় কমিটিকে নির্দেশ দিলেন—যখন পেট্রোগ্রাড ও মস্কৌ-র সোভিয়েটগুলিতে আমাদের পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ তখন গভর্ণমেণ্টের শাসনরশ্মি কাড়িয়া লইতে আমরা সক্ষম এবং তাহাই কর্ত্তব্য।
১০ই অক্টোবর লেনিন পেট্রোগ্রাডে ফিরিয়া আসিলেন। ২৩শে অক্টোবর পার্টির কেন্দ্রীয় সমিতির চিরস্মরণীয় সভায় তিনি যোগ দিলেন।
৫৯