পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

দিয়া কেরেনেস্কীর বিরুদ্ধে গিয়াছে।” ২৯শে তারিখেই কেন্দ্রীয় সমিতির এক গোপন ঘরোয়া বৈঠকে ষ্ট্যালিনের নেতৃত্বে বৈপ্লাবক সামরিক সমিতি সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা প্রস্তুত করিলেন।

 সশস্ত্র বিদ্রোহের আসন্ন মুহূর্ত্তে (৬ই নভেম্বর) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিকট এক পত্রে লেনিন লিখিলেন—“গণবিপ্লবের উত্থানকে আজ সংযমের সহিত পরিচালনা করা মৃত্যুরই নামান্তর। চরম মুহূর্ত্ত উপস্থিত।......কোন অবস্থাতেই কেরেনেস্কী ও তাহার দলের হাতে সামান্য ক্ষমতাও রাখা উচিত নহে। আজ সন্ধ্য। এবং রাত্রির মধ্যেই নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইবে!”

 ঐদিনই দলের পত্রিকার সম্পাদকীয় প্রবন্ধে ষ্ট্যালিন আবেদন করিলেন—“আর বিলম্ব করিলে তাহা বিপ্লবের পক্ষে মারাত্মক হইবে। জমিদার ও পু’জীপতিদের গভর্ণমেণ্টের স্থলে কৃষক ও শ্রমিকের গভর্ণমেণ্ট স্থাপন করিতে হইবে।.....ক্ষমতা শ্রমিক, সৈনিক ও কৃষকদের ডেপুটিগণ লইয়া গঠিত সোভিয়েটের হাতে আনিতে হইবে। নূতন গভর্ণমেণ্ট সোভিয়েট কর্ত্তৃক গঠিত হইবে, তাহা সোভিয়েটের নিকট দায়ী থাকিবে এবং একমাত্র সোভিয়েটই তাহা অপসারণ করিতে পারিবে।”

 অন্যদিকে কেরেনেস্কী বলশেভিক পার্টিকে বে-আইনী ঘোষণা করিয়া প্রতিবিপ্লবী শক্তিগুলির সহায়তায় সামরিক একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। কিন্তু অকস্মাৎ শ্রমিক, কৃষক ও সৈন্যদলের মিলিত অভ্যুত্থানের দুর্জ্জয় শক্তি দেখিয়া তাঁহার চমক ভাঙ্গিল; সুবিধাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল জমিদার ও অভিজাতবর্গ তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া গা-ঢাকা দিল; তাহাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া কেরেনেস্কীও পলায়ন করিলেন। ২৫শে অক্টোবর অপরাহ্ণে সামরিক বৈপ্লবিক কাউন্সিল

৬১