ষ্ট্যালিন
সমস্ত ক্ষমতা সোভিয়েটের হস্তে অর্পণ করিলেন। তৎক্ষণাং নিখিল রুশীয় সোভিয়েট কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন হইল। বিপুল ভোটাধিক্যে লেনিনের নেতৃত্বে নূতন কৃষক-শ্রমিকের রাষ্ট্র গঠিত হইল। গণসচিবসঙ্ঘের সভাপতি হইলেন লেনিন এবং সচিব-সঙ্ঘ বা “পলিটব্যুরা|”র সপ্তরথী হইলেন লেনিন, ষ্ট্যালিন, ট্রট্স্কী, কামেনফ্, জিনোভিফ্, সোকলনিকফ্, ও বিট্রবফ্। ঝেরঝিনিস্কি ও উরিট্স্কি সামরিক সমিতির অতিরিক্ত সদস্য নির্ব্বাচিত হইলেন। ষ্ট্যালিন সমগ্র রুশিয়ার বিভিন্ন জাতিগুলির সামঞ্জস্য বিধানের দপ্তর গ্রহণ করিলেন।
রাশিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিপর্য্যস্ত, সাম্রাজ্যবাদী মহাযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় সমাজব্যবস্থা ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে; বিপ্লববিরোধী দলগুলি অসন্তোষকে নূতন উপায়ে জাগাইয়া তুলিবার জন্য গোপন আন্দোলনে রত; দুর্ভিক্ষ তাহার করাল ছায়া বিস্তার করিতেছে। এমন সময় জার শাসনের বন্ধনমুক্ত জনতা নূতন ক্ষমতার মদিরা পানে উন্মত্ত হইয়া কারাদ্বার খুলিয়া দিল; দলে দলে বন্দী বাহির হইয়া আসিল। দেশময় একটা বিশৃঙ্খল স্বেচ্ছাচারকেই সকলে স্বাধীনতা মনে করিতে লাগিল। এই অবস্থার মধ্যে বলশেভিক নেতারা দেখিলেন, প্রথমে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের সমস্যা সমাধান করিতে হইবে। জার্ম্মানী ও অস্ট্রিয়ার সহিত শাস্তিস্থাপন সর্ব্বাগ্রে আবশ্যক। তাঁহারা জার্ম্মানীর সহিত যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে কথা চালাইবার জন্য অধীর হইলেন এবং রাশিয়ার পক্ষ হইতে যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টিত হইলেন। ষ্ট্যালিন এই ব্যাপারে প্রধান অংশ গ্রহণ করিলেন। তিনি লিখিয়াছেন—“লেনিন, ক্রাইলেঙ্কো (ভাবী প্রধান সেনাপতি) এবং আমি যখন পেট্রোগ্রাডের প্রধান সামরিক কার্য্যালয়ে উপস্থিত হইয়া বিশেষ ব্যবস্থায় তারযোগে
৬২