ষ্ট্যালিন
প্রধান সেনাপতি দুখনিনের সহিত কথা বলিবার জন্য উপস্থিত হইলাম সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি আমার এখনও মনে আছে।···দুখনিন এবং সমরবিভাগের কর্ম্মচারীরা ‘পিপ্ল্স্ কমিশার্স’দের আদেশ পালন করিতে সরাসরি অস্বীকার করিল। সেনানায়কগণ সম্পূর্ণরূপে সামরিক কেন্দ্রীয় কমিটির করায়ত্ত। সৈন্যগণ কি বলিবে তাহা কেহই জানিত না। বলশেভিকদলভুক্ত সৈন্যদল ব্যতীত অন্যান্য সকলেই সোভিয়েট ক্ষমতালাভের বিরোধী। আমরা জানিতাম যে অসন্তুষ্ট সামরিক শ্রেণী পেট্রোগ্রাডে অভ্যুত্থানের জন্য পরামর্শ করিতেছে এবং কেরেনেস্কী রাজধানী আক্রমণ করিবার জন্য অগ্রসর হইতেছে।... আমার মনে আছে টেলিফোনের সম্মুখে দাড়াইয়া লেনিন কিয়ংকালের জন্য নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। সহসা তাঁহার মুখ এক অভূতপূর্ব্ব দীপ্তিতে জ্বলিয়া উঠিল। বোঝা গেল তিনি একটা নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন। তিনি বলিলেন, ‘চল আমরা বেতার ঘাঁটিতে যাই, উহাতেই আমাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে। আমরা বিশেষ আদেশ দিয়া জেনারেল দুখনিন্কে তাঁহার কর্তব্য হইতে অব্যাহতি দিব এবং তাঁহার স্থানে কমরেড্ ক্রাইলেঙ্কোকে প্রধান সেনাপতি পদে নিযুক্ত করিব এবং সমরনায়কদের না জানাইয়াই সৈন্যদলের নিকট আবেদন করিব তাহারা যেন তাহাদের সেনানায়কদিগকে গ্রেপ্তার করে এবং সর্ব্ববিধ সামরিক কার্য্য হইতে বিরত হয়, অষ্ট্রোজার্ম্মান সৈন্যদের প্রতি ভ্রাতার মত ব্যবহার করে এবং শান্তি স্থাপনের দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করে।” লেনিনের নির্দ্দেশ ও আদেশ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালিত হইল। ট্রট্স্কী সোভিয়েটের প্রতিনিধিরূপে সন্ধিপত্র স্বাক্ষর করিলেন। এই ব্যাপারে লেনিন সর্ব্বদাই ষ্ট্যালিনের পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। একদিন কোন একটা বিশেষ ব্যাপারে ট্রট্স্কি ব্রেষ্ট-
৬৩