ষ্ট্যালিন
নহেন। তিনি জানাইলেন, “আমার পক্ষে উদাসীন ভাবে থাকা সম্ভবপর নহে। কালিনিনের বাহিনী উত্তর ককেসিয়ায় রসদ পাইতেছে না। সমস্ত উত্তর রাশিয়ার সহিত গমক্ষেত্রগুলির সংযোগ ছিন্ন হইয়াছে। এইগুলি এবং স্থানীয় অন্যান্য দুর্ব্বলতা ও ত্রুটি আমি সংশোধন করিব। আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করিতেছি এবং করিব। প্রয়োজন হইলে আমাকে সমরনায়কদিগকে সরাইতে হইবে অথবা তাহাদের আমার নির্দ্দেশ মানিতে হইবে। সামরিক কর্ত্তৃপক্ষের আদেশ প্রয়োজন হইলে আমি বাতিল করিব। এক কথায় উচ্চতম কর্ত্তৃপক্ষের সহিত আমি পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করিতেছি।”
মস্কো হইতে উত্তর আসিল, তাঁহাকে সমস্ত লালপল্টনকে পুনর্গঠন করিতে হইবে। “শৃঙ্খলা পুনঃ প্রতিষ্ঠা কর, ছত্রভঙ্গ সৈন্যদলকে কেন্দ্রীভূত করিয়া উপযুক্ত সেনানায়ক নিয়োগ কর, সর্ব্ববিধ অবাদ্যত| দমন কর।” বৈপ্লবিক সমর-সমিতি ঐ সঙ্গে ইহাও জ়ানাইলেন যে “এই তার” লেনিনের পূর্ণ সম্মতিক্রমেই প্রেরিত হইল।
এই সরাসরি আদেশ আসিবার পর অবস্থা আরও সঙ্গীন হইয়া উঠিল। ইউক্রেনে হতাবশিষ্ট লালপল্টন ডন অঞ্চল হইতে জার্ম্মাণ বাহিনীর দ্বারা প্রতাড়িত হইয়া ছত্রভঙ্গভাবে জারিথসিনে প্রবেশ করিতে লাগিল। এই অবস্থার মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এক অসাধ্য সাধন। কিন্তু দুর্দ্দমনীয় ইচ্ছা-শক্তি-সম্পন্ন ষ্ট্যালিনের ব্রতই অসাধ্য সাধন। যেন যাদুমন্ত্র-বলে তিনি বৈপ্লবিক যুদ্ধ-সমিতি প্রতিষ্ঠা করিয়া ছত্রভঙ্গ সৈন্যদলে পুনরায় শৃঙ্খলা আনয়ন করিলেন। সৈন্যেরা যথাযথ ভাবে শ্রেণীসংবদ্ধ হইল। বিপ্লবের প্রতি বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন লোকদের সরাইয়া দেওয়া হইল। সোভিয়েট এবং সাম্যবাদী দলের সহায়তায় রসদ-
৬৯