ষ্ট্যালিন
ভিত্তিতে দৃঢ়পদে দণ্ডায়মান, এ ক্ষমা করিবে না, শত্রু মাত্রকেই নির্ম্মম ভাবে দমন করিবে।
ষ্ট্যালিন যে দায়ীত্ব গ্রহণ করিলেন স্বাভাবিকভাবেই তাহা পালন করিবার উপযুক্ত ক্ষমতাও চাহিলেন। জারিথসিনের সামরিক কমিটির ডিরেক্টর (পরে ক্রাসনফের সৈন্যদলে যোগদানকারী বিশ্বাসঘাতক) নসোভিক (১৯১৯ ৩রা এপ্রিল) প্রতি-বিপ্লবীদের গৌরব ঘোষণা ও বলশেভিকদের নিন্দা করিয়াও সংবাদপত্রের এক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন,— “বহু অধ্যবসায়ে গঠিত সামরিক নেতৃত্বের রদবদল দেখিয়া ট্রট্স্কী শঙ্কিত হইলেন। তিনি তার যোগে জানাইলেন, সামরিক নেতৃত্ব এবং কুমিশারদিগকে স্ব স্ব পদে পুনরায় নিযুক্ত করা হউক এবং অর্দ্ধবৃত্তাকারে করিবার সুযোগ দেওয়া হউক। ষ্ট্যালিন টেলীগ্রাফখানি, লাগিল যা তাহার উপর লিখিয়া দিলেন, ‘ইহা গ্রাহ্য করিবার প্রয়োজন নাই। ষ্ট্যালিনের আদেশই প্রতিপালিত হইল। গোলন্দাজ বাহিনীর নায়কগণ এবং সামরিক কর্ম্মচারীরা জারিথসিন বন্দরে একখানা ষ্টীমারে আটক রহিলেন।” দূর হইতে আদেশ প্রদানকারী ট্রট্স্কীর নির্দ্দ শ পালিত হইলে বিশ্বাসঘাতকেরা অবস্থা অধিকতর সঙ্গীন করিয়া তুলিত। ষ্ট্যালিন কর্ত্তৃত্ব গ্রহণ করিলেন; তাঁহার আদেশমত কার্য্য হইতেছে কিনা, বলশেভিক শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হইতেছে কিনা, ইহা দেখিবার জন্য স্বয়ং চারিশত মাইল ব্যাপী সংগ্রামক্ষেত্র পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন। ষ্ট্যালিন জীবনে কখনও সৈন্যদলে কাজ করেন নাই। তাঁহার সামরিক পূর্ব্ব অভিজ্ঞতা না থাকিলেও, তিনি সঙ্ঘগঠন ও পরিচালনায় এবং রণনীতির জটিল সমস্যাগুলির দ্রুত মীমাংসায় অদ্ভূত নৈপুণ্য প্রদর্শন করিয়াছেন। ট্রট্স্কী নিযুক্ত জার-সৈন্যদলের ভূতপূর্ব্ব সেনাপতিদিগের পরিবর্ত্তে তিনি নিজের
৭১