ষ্ট্যালিন
পছন্দমত সেনাপতি নিযুক্ত করিলেন। অধুনা বিখ্যাত ভরোশিলভ, বুডেনী ও টিমোশিঙ্কোর নেতৃত্বে এক নূতন লালপল্টন, জেনারেল ক্রাসনফের প্রচণ্ড আক্রমণ হইতে জারিথসিন রক্ষা করিতে লাগিল। উত্তর ককেসাস হইতে মস্কৌএর শিল্প-অঞ্চলে খাদ্য প্রেরণ বন্ধ হইবার উপক্রম হইল। ষ্ট্যালিন মুখ্যতঃ খাদ্যশস্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করিবার জন্য প্রেরিত হইয়াছিলেন; ঘটনাচক্রে তিনি হইয়া পড়িলেন সামরিক নেতা। জারিথসিনের রক্ষাব্যূহ সুদৃঢ় করিয়া ষ্ট্যালিন উহা রক্ষা করিলেন। এই বিপুল সাফল্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট ঐ বন্দরের নাম রাখিলেন ষ্ট্যালিনগ্রাড। নূতন লালপল্টন জেনারেল ক্রানিক ষড়যন্ত্র পরাজিত করিয়া ইউক্রেন হইতে জার্ম্মানবাহিনীকে বহিষ্কৃত বর্ণসমূলে উৎস-র শরৎকালে দক্ষিণ রণাঙ্গণের বিপদ কাটিয়া গেল; সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট খাদ্যশস্য সরবরাহ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হইলেন।
কেগানোভিচ বলিয়াছেন, “১৯১৮ সালের প্রারম্ভে ক্রাসনফ চালিত কসাক সৈন্য জারিথসিন আক্রমণ করিয়াছে, ভল্গা নদীর তীরে তাহারা লাল পল্টনকে ঘিরিয়া ফেলিবার উপক্রম করিয়াছে, এই ঘটনা আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল রহিয়াছে। ডোনেথস্ শ্রমজীবীদের দ্বারা গঠিত কমিউনিষ্ট সৈন্যদলের নেতৃত্বে চালিত লালপণ্টন উত্তমরূপে সুসজ্জিত কসাক সৈন্যদলের সহিত পূর্ণ বিক্রমে যুদ্ধ করিয়া তাহাদের হটাইয়া দিয়াছিল। সেই ভয়াবহ দিনগুলির স্মৃতি আজ অনেকে সহজে বিশ্বাস করিবেন না। এই সঙ্কটের মধ্যে ষ্ট্যালিন ধীর, আপন চিন্তায় আপনি নিমগ্ন,—নিদ্রাহীন ও নিরলস। তিনি একবার গুলিবর্ষণের সম্মুখীন হইতেছেন আর একবার সামরিক ঘাঁটিতে আসিয়া পরামর্শ করিতেছেন। আক্রমণ প্রতিহত করিয়া স্থির থাকা অসাধ্য হইয়া উঠিল। ক্রাসনফের সৈন্যদল আমাদের ভ্রান্ত-
৭২