ষ্ট্যালিন
ক্লান্ত সৈন্যদলকে আক্রমণ করিয়া প্রভৃত ক্ষতি করিতে লাগিল। অর্দ্ধ বৃত্তাকারে অগ্রসর শত্রু সৈন্য ভল্গা নদীর মুখে দুইদিক হইতে চাপিয়া আসিতে লাগিল, আমাদের পলায়নের পথ রহিল না। কিন্তু ষ্ট্যালিন পলায়নের কথা চিন্তা করিতেছিলেন না। জয়, একমাত্র জয়ের লক্ষ্য লইয়া তিনি সৈন্যদলকে উৎসাহিত করিতে লাগিলেন। অবশেষে বিজয়লক্ষ্মীর আশীর্ব্বাদ মিলিল। ছত্রভঙ্গ শত্রুসৈন্য ডন নদীর অপর পারে পলায়ন করিল।”
১৯১৮-র শেষভাগে পূর্ব্বরণাঙ্গনে অনুরূপ বিপদ ঘনাইয়া আসিল। জেনারেল কোলচাকের সৈন্যদল শ্বেত রাশিয়া আক্রমণ করিয়া প্রেম অধিকার করিল। তৃতীয় লাল পল্টন পিছু হটিল—অর্দ্ধবৃত্তাকারে অগ্রসর শত্রুসৈন্য তাহাদের উপর অবিরত চাপ দিতে লাগিল। নভেম্বর মাসের শেষভাগে তৃতীয় পণ্টনের নৈতিক বল একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল। এই রণাঙ্গনে ছয় মাস যুদ্ধের ইতিহাস অতি শোচনীয়। রসদের অপ্রাচুর্য্য, রিজার্ভ বাহিনীর অভাব, নৈতিক মেরুদণ্ডহীন অলস সামরিক নেতৃত্ব, তাহার উপর খাদ্যাভাব ও প্রচণ্ড শীতে লাল পণ্টনের শত্রুকে বাধা দিবার ক্ষমতা প্রায় অন্তর্হিত হইল। উপর ট্রট্স্কী নিযুক্ত সেনাপতিরা বিশ্বাসঘাতকতা করিতে লাগিল, সৈন্যদল বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট হইয়া আত্মসমর্পণ করিতে লাগিল। ফলে ছত্রভঙ্গবৎ লালপল্টন বিশদিনে প্রায় দুইশত মাইল হটিয়া আসিল। ১৮ হাজার সৈন্য হতাহত হইল। অনেক কামান ও মেসিন গান শত্রুর হাতে পড়িল। শত্রুসৈন্য ভাইটকার দ্বারদেশে আসিয়া পড়িল।
লেনিন বৈপ্লবিক সমর পরিষদের নিকট তার করিলেন, “প্রেমের নিকটবর্ত্তী অঞ্চল হইতে আমরা পার্টির পক্ষ হইতে অনেক রিপোর্ট
৭৩