ষ্ট্যালিন
পাইয়াছি। সৈন্যদলে প্রবল পানাসক্তি ও নানারূপ বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়াছে। আমি ষ্ট্যালিনকে তথায় পাঠাইবার কথা চিন্তা করিতেছি।” তিনি আর এক তারে ট্রট্স্কীকে জানাইলেন, “ষ্ট্যালিনকে না পাঠাইয়া উপায় নাই।” রণাঙ্গণের অবস্থা দেখিয়া ট্রট্স্কী অপ্রস্তুত হইয়া পড়িয়াছিলেন, তিনি সম্মতি দিলেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ষ্ট্যালিন ও ঝেরঝিনিস্কিকে নির্দ্দেশ দিলেন, “প্রেমের পতনের কারণ এবং উরাল রণক্ষেত্রে আধুনিক পরাজয়ের কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিতে হইবে এবং সামরিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে হইবে।” কিন্তু ট্রট্স্কী জানিলেন, যে সৈন্যদলের মধ্যে মদ্যপানের আধিক্য হেতু যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়াছে, ষ্ট্যালিন তাহার প্রতিকারের জন্য পানশালাগুলি বন্ধ করিতে যাইতেছেন।
১৯১৯-র ৫ই জানুয়ারী লেনিন নিম্নলিখিত তার পাইলেন, “তদন্ত আরম্ভ করিয়াছি এবং ইহার বিবরণ আপনাকে জানাইব। বর্ত্তমান মুহূর্ত্তে তৃতীয় সৈন্যদলের ৩০ হাজারের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার অবসন্ন সৈন্য রহিয়াছে। ইহারা শত্রুর সম্মুখীন হইবার সম্পূর্ণ অযোগ্য। ট্রট্স্কী যে নূতন সৈন্যদল পাঠাইয়াছেন, তাহাদিগকে বিশ্বস্ত বলিয়া মনে হইতেছে না, প্রেরিত রংরূটের মধ্যে কতকগুলি লোক সম্পূর্ণ অনুগত নহে। ভাইট্কা বিপন্ন, উহা রক্ষা করিতে হইলে অবিলম্বে তিনদল বিশ্বস্ত সৈন্য প্রেরণ করা আবশ্যক। আপনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর উপযুক্ত চাপ দিন অন্যথায় ভাইট্কায় প্রেমের পুনরভিনয় হইবে। ইহাই স্থানীয় সহকর্মীদের অভিমত।”
ভাইট্কা |
স্বা: ষ্ট্যালিন, ঝেরঝিনিস্কি। |
৭৪