ষ্ট্যালিন
তারের উত্তরে বার শত বাছা বাছা লোক এবং দুইদল অশ্বারোহী সৈন্য ভাইট্কায় প্রেরিত হইল এবং জানুয়ারী মাসের মধ্যে আব এক সাম্যবাদী দল প্রেরিত হইল। সংখ্যায় সামান্য হইলেও ইহাদের লইয়া ষ্ট্যালিন নগর রক্ষার ব্যবস্থা করিলেন এবং উভয় সৈন্যদলকে সুগঠিত করিয়া প্রচণ্ডভাবে শত্রুকে আক্রমণ করিলেন। শত্রু সৈন্য বিধ্বস্ত ও ছত্রভঙ্গ হইয়া পলায়ণ করিল।
আর এক নূতন বিপদ দেখা দিল। জুডেনিচ, চালিত বাহিনী জেনারেল কোলচাকের আদেশে পেট্রোগ্রাড অধিকার করিতে অগ্রসর হইল। এস্তোনিয়ান ও ফিন সৈন্যদল সহ ব্রিটিশ নৌবহরের সমর্থনে জুডেনিচ অকস্মাৎ পেট্রোগ্রাড আক্রমণ করিলেন। রাশিয়ার উত্তর পশ্চিম সীমান্তের দুর্গগুলির সৈন্যরা প্রকাশ্যে সোভিয়েট শত্রুদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করিতে লাগিল। লাল পণ্টন হটিয়া আসিতে লাগিল। কেন্দ্রীয় কমিটি ষ্ট্যালিনকে আহ্বান করিলেন। ষ্ট্যালিন পেট্রোগ্রাডে ফিরিয়া আসিয়া প্রথমে সাম্যবাদী বিপ্লবীদিগকে সঙ্ঘবদ্ধ করিলেন এবং কেহ পলাইয়া শত্রুপক্ষে যোগ দিতে না পারে তাহার জন্য পাহারার বন্দোবস্ত করিলেন। তারপর পাঁচবৎসরের রণশ্রান্ত, জীর্ণশীর্ণ দেহ. মলিন ছিন্ন বসন পরিহিত অথচ সাম্যবাদের আদর্শে অনুপ্রাণীত সৈন্যদল লইয়া ষ্ট্যালিন শত্রুবাহিনীর সম্মুখীন হইলেন। নিজে সমরনীতিক না হইয়াও এবার তিনি সেনাপতিরূপে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। আর একটা ঐতিহাসিক অঘটন ঘটিল। তিনি লেনিনকে তার করিলেন, “ক্রাসানিয়। গোর্কা, সেরায়ালোসাদ্ অধিকৃত হইয়াছে। সমস্ত দুর্গ এবং সামরিক ঘাঁটিতে দ্রুত শৃঙ্খলা স্থাপিত হইয়াছে। নৌ-বিশেষজ্ঞগণ বলিতেছেন যে ক্রাসানিয়া গোর্কা দখল করিয়া আমরা
৭৫