পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

কসাক দস্যুরা লুতরাজ শুরু করিল। টুলা হইতে মস্কো পর্য্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল যখন বিপন্ন তখন ট্রট‍্স্কী শত্রু-সৈন্যের পার্শ্বদেশ আক্রমণ করিবার জন্য দক্ষিণ ভল‍্গা হইতে জারিথসিন পর্য্যন্ত সৈন্য সমাবেশের নির্দ্দেশ দিলেন। কিন্তু কি ডেনিকিন, কি দুর্দ্ধর্ষ জেনারেল র‍্যাঙ্গেল, জুডেনিচের মত অস্থিরচিত্ত ভীরু ছিলেন না। তাঁহাদের সম্মুখীন হইবার জন্য ট্রট‍্স্কীর ব্যবস্থা ষ্ট্যালিনের মনঃপূত হইল না।

 কেন্দ্রীয় কমিটি ষ্ট্যালিনকে আহ্বান করিলেন। বারংবার সাফল্যে আত্মপ্রত্যয়ে বিশ্বাসী ষ্ট্যালিন এবার আর রাথিয়। ঢাকিয়া কথা বলিলেন না! ঘটনা স্থলে যাইবার পূর্ব্বে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিকে তিনটী সর্ত্ত দিলেন। প্রথম—দক্ষিণ রণক্ষেত্রে ট্রট‍্স্কী হস্তক্ষেপ করিবেন না, দ্বিতীয় ট্রট‍্স্কীর নির্ব্বাচিত সেনা-নায়কদের প্রয়োজন হইলে সরাইয়া দিয়া তিনি নিজের মনোমত লোক নিযুক্ত করিবেন। তৃতীয়—ষ্ট্যালিন যে সকল নেতা ও কর্ম্মীকে প্রয়োজন বোধ করিবেন তাঁহাদিগকে অবিলম্বে রণক্ষেত্রে প্রেরণ করিতে হইবে। কেন্দ্রীয় কমিটি ইহাতে পূর্ণ সম্মতি দিলেন। এই প্রথম ষ্ট্যালিন ট্রট্‌স্কীকে প্রকাশ্যভাবে পশ্চাতে ঠেলিয়া দিলেন। ট্রট‍্স্কীর রণ-পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বদলাইয়া ষ্ট্যালিন সমস্ত দায়িত্ব নিজের হাতে লইলেন। ১৯১৯-র অক্টোবর মাসে ডেনিকিন ওরেলে উপস্থিত, মস্কো বিপন্ন। ষ্ট্যালিন বুডেনী ও টিমোশিঙ্কোকে লইয়া রণক্ষেত্রে দেখা দিলেন। বুডেনী চালিত লাল অশ্বারোহী সৈন্যদলের আক্রমণে ডেনিকিন ওরেল ছাড়িয়া ক্যাষ্টোরনায়ায় আসিয়া দাঁড়াইলেন। পার্শ্বদেশ হইতে টিমোশিঙ্কোর বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে ডেনিকিনের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হইল। খারকোভ, রষ্টভ হইতে উৎখাত হইয়া ডেনিকিনের সৈন্যদল কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত হটিয়া গেল। ইউক্রেন ও উত্তর ককেশিয়া

৭৭