ষ্ট্যালিন
শত্রুকবল মুক্ত হইল। এই সময় ষ্ট্যালিন লেনিনের নিকট যে সকল পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতে তাঁহার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা এবং সামরিক অভিজ্ঞতার বহু নিদর্শন রহিয়াছে। এই যুদ্ধের মধ্যেই ষ্ট্যালিন, ডনকসাকদের লইয়া অশ্বারোহী সৈন্যদল গঠন করেন এবং রক্ষণশীল রণনীতির পরিবর্ত্তন করিয়া শত্রুর উপর অকস্মাৎ ঝাঁপাইয়া পড়িবার জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝটিকাবাহিনী গঠন করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে যান্ত্রিক বাহিনী এত প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে, ষ্ট্যালিনই তাহার আদি স্রষ্টা। ইংরাজ সেনাপতি মেজর হুভার লালপণ্টনের ইতিহাস লিখিতে গিয়া বলিয়াছেন, “এই সৈন্যদল (ষ্ট্যালিন গঠিত) ইতিহাসের প্রথম যান্ত্রিক বাহিনী বলিয়া দাবী করিতে পারে। তখন অশ্বারোহী সৈন্যদলের পরিপূরক হিসাবে ইহার গঠন ও পরিচালনে সর্ব্ববিধ মোটরযান ব্যবহৃত হইয়াছিল।”
অন্যদিকে আত্মাভিমানী ও লুব্ধভাগ্যান্বেষী জেনারেল র্যাঙ্গেল ইংলণ্ড ও ফ্রান্সের নিকট প্রচুর অর্থ, সৈন্য ও রসদ পাইয়া ক্রিমিয়। হইতে পোলাণ্ডে গেলেন এবং ভোনেক্স ঘাঁটি হইতে সমস্ত দক্ষিণ অঞ্চল আক্রমণ করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। লেনিন ষ্ট্যালিনকে জানাইলেন, “কেন্দ্রীয় সমিতি বিভিন্ন যুদ্ধ-স্থলকে ভাগ করিয়া দিয়াছেন; অতএব তুমি কেবলমাত্র র্যাঙ্গেলের বিরুদ্ধে, অগ্রসর হও।” রুগ্ন দেহ লইয়াও ষ্ট্যালিন বিপ্লবী সামরিক সমিতির সদস্যরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে উপস্থিত হইলেন। তাঁহার উৎসাহে পরিচালিত লাল পণ্টন কিয়েভ এবং ইউক্রেন হইতে পোল সৈন্যদিগকে তাড়াইয়া দিল। ষ্ট্যালিন গঠিত প্রথম অশ্বারোহী সৈন্যদল আশ্চর্য্য ক্ষিপ্রতার সহিত শত্রুকে দলিত করিয়া অগ্রসর হইতে লাগিল। কিন্তু ওয়ারশর নিকটে লাল পল্টনকে
৭৮