ষ্ট্যালিন
পরাজিত করিয়া পোল সৈন্যরা অশ্বারোহী সৈন্যদলের গতিরোধ করিল।
ট্রট্স্কী ওয়ারশতে লালপণ্টনের সাহায্যার্থে বুডেনীকে অগ্রসর হইবার আদেশ দিলেন। কিন্তু তিনি পশ্চাদ্ভাগ রক্ষার এবং সরবরাহের কোন ব্যবস্থা না করায় অবস্থা সঙ্গীন হইয়া উঠিল। ফরাসী জেনারেল ওয়েগাঁর নেতৃত্বে চালিত পোল সৈন্য এই দুর্ব্বলতার সুযোগ গ্রহণ করিল। ভরোশিলভ ও বুডেনী বহুকষ্টে লাল পল্টনকে শত্রুর বেষ্টনী হইতে রক্ষা করিলেন। পোলদের পশ্চাতে বৃটেন ও ফ্রান্সের সমর্থন ও সাহায্য ছিল। বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট সোভিয়েট বিরোধী যুদ্ধে ১০ কোটী পাউণ্ড ব্যয় করিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে ইংলণ্ডে, রাশিয়ায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রবল হইল। লণ্ডন ডকের শ্রমিকরা ‘জলি জর্জ্জ’ জাহাজে পোলাণ্ডের জন্য অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই করিতে অস্বীকার করিল। গ্রেটবৃটেন আর সাহায্য করিতে পারিল না। রণশ্রান্ত পোল সৈন্যের সহিত ১৯২০-র অক্টোবর মাসে সন্ধি হইল। কিন্তু এই সন্ধিতে সোভিয়েট রাশিয়াকে গ্যালিসিয়া ও বাইলো—রাশিয়ার কিয়দংশ ছাড়িয়া দিতে হইল।
এই সকল সংঘর্ষের মধ্যে ষ্ট্যালিনের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং ক্ষিপ্র কর্ম্মকৌশল দেখিয়া অনেকে চমৎকৃত হইলেন। কিন্তু যাঁহারা ঘনিষ্ঠভাবে এই মনুষ্যটিকে জানিতেন, তাঁহারা দেখিলেন যে অদ্ভুতকর্ম্মা ষ্ট্যালিন ক্ষেত্রান্তরে এক নূতন কর্ম্মক্ষেত্রে তাঁহার স্বভাবসিদ্ধ নৈপুণ্য প্রয়োগ করিতেছেন মাত্র। এই বলশেভিক-নেতা সাফল্যের রহস্য জানিতেন এবং বাস্তবক্ষেত্রে তাহাকে পূর্ণতা দান করিয়াছিলেন। ষ্ট্যালিন অযোগ্যতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং বন্ধুর ছদ্মবেশে কার্য পণ্ড করিবার চেষ্টার বিরুদ্ধে ছিলেন নিষ্ঠুর, আবার এমন ঘটনাও দেখা গিয়াছে যে
৭৯