ষ্ট্যালিন
জাতির (রাশিয়ান) বা ধর্ম্মের (গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ্চ) বিশেষ সুবিধামূলক বিধিনিষেধ বিলুপ্ত করা হইল। ভূতপূর্ব্ব রুশ সাম্রাজ্যের এলাকার অধিবাসী সংখ্যালঘিষ্ঠ জাতিগুলি অথবা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠিগুলি স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া অবাধে আত্মোন্নতি সাধন করিতে পারিবে।’
ইহার অর্থ হইল এই জাতিগুলি শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিক দিয়া এক যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকিলেও জাতীয় বৈশিষ্ট্য বিকাশের পূর্ণ সুযোগ পাইবে এবং সেই ভিত্তিতে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল স্বাধীনতা ভোগ করিবে। জারীয় শাসনে মুসলমান শ্রমিকদের দুর্গতি চরমে উঠিয়াছিল। ইহাদিগকে যদিও ‘রাশিয়ান’ বলা হইত কিন্তু কার্য্যতঃ পরাধীন জাতির মত নির্যাতন ইহারাই সহ্য করিয়াছে বেশী এবং শিক্ষায় দীক্ষায় সর্ব্বাপেক্ষা পশ্চাৎপদ ছিল। সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট ঘোষণা করিলেন এই জনসমষ্টিকে শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত করিয়া অন্যান্য সকলের সমশ্রেণীতে আনিতে হইবে।
সংখ্যালঘিষ্ঠ সম্প্রদায় এবং জাতিগুলির সম্পর্কে এই নূতন নীতি ঘোষণার ফলে জনসাধায়ণ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া সোভিয়েটে যোগদান করিতে লাগিল। ভাষা-শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং বিশিষ্ট সামাজিক নিয়ম কানুন বিলুপ্তির আশঙ্কা দূরীভূত হওয়ায় সাম্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রচার কার্য্য ব্যর্থ হইল। ১৯২২ সালে “ইউনিয়ন অফ স্যোশালিষ্ট সোভিয়েট রিপাব্লিকস্” গঠত হইল। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সহিত ষ্ট্যালিনের নাম. অচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। এই নূতন রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্রের খসড়া সংখ্যালঘিষ্ঠ বলশেভিকদল জারের আমলেই প্রস্তুত করিয়াছিলেন। এই নূতন গঠনতন্ত্রের মূল প্রস্তাব হইল, ‘সামরিক ও অর্থ নৈতিক ঐক্য ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি, সঙ্গে সঙ্গে যতদূর স্বাধীনতা ও জাতীয়
৮৪