ষ্ট্যালিন
বুঝিবার ও সমর্থন করিবার মানদণ্ডেই আমাদের কাজের লোকদের বিচার হইবে।’ আজ সত্যই সেদিন আসিয়াছে, সমগ্র জগত লেনিন-ষ্ট্যালিনের সৃষ্টির প্রতি প্রশংসমান দৃষ্টিতে চাহিয়া আছে; কিন্তু সেদিন ষ্ট্যালিনের ভাষায়, ‘অল্পদিনের জন্য নহে, ১৯১৮ হইতে দুই বৎসর স্মরণ কর বন্ধুগণ, পেট্রোগ্রাডের শ্রমিকেরা সপ্তাহের পর সপ্তাহ এক টুকরা রুটিও পায় নাই। যেদিন তাহারা আধ সের খৈল মিশ্রিত কালো রুটি পাইত, সেদিন তাহারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করিত।’
যখন সোভিয়েট রাশিয়া নূতনভাবে কলকারখানার পত্তন করিতে লাগিল তখনও সাম্রাজ্যবাদীদের গোয়েন্দারা নানা উপায়ে উহা ধ্বংস করিবার চেষ্টা করিয়াছে। মধ্যশ্রেণী ও প্রতিবিপ্লবীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করিবার জন্য যখন নূতন অর্থ নৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্ত্তিত হইল তখন পৃথিবীময় রব উঠিল সোভিয়েট রাশিয়া মার্কসীয় পন্থা পরিত্যাগ করিয়াছে এবং বুর্জোয়া শ্রেণীর অর্থনৈতিক সুবিধাবাদ গ্রহণ করিতেছে। এই সময় ট্রট্স্কি (যিনি এমন কথা কদাচিৎ স্বীকার করিয়াছেন) বলিয়াছিলেন, ‘সংস্কারক ও বিপ্লবীদের মধ্যে পার্থক্য এই যে বিপ্লবীরা জনসাধারণ কর্তৃক ক্ষমতা হস্তগত করিবার পর নীতির দিক দিয়া সংস্কারকে স্বীকার করে। নবীন সোভিয়েট-শক্তির মূলমন্ত্র এই যে প্রয়োজন হইলে আমি কিছু কিছু সুবিধা দিব কিন্তু যখন আমি ঠিক ঠিক প্রভু হইয়াছি তাহার পূর্ব্বে নহে।’ সোভিয়েট ব্যবস্থা করিয়াছিল যে কৃষকদের ক্ষেত্রের উৎপন্ন গম, যাহা ভরণপোষণের অতিরিক্ত, গভর্ণমেণ্টকে দিতে হইত এবং যাহার জন্য কৃষকেরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ছিল সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন হইল। নিয়ম হইল কৃষকেরা ব্যবহারের অতিরিক্ত শস্য স্বাধীনভাবে বিক্রয় করিতে পারিবে। আবার মুদ্রার প্রচলন হইল।
৮৭