ষ্ট্যালিন
অভিজ্ঞতা ছিল এবং তাহাদের বংশ পরম্পরাগত ব্যবসায় বুদ্ধির নিপুণতাও ছিল; পক্ষান্তরে আদর্শ-নিষ্ঠ সাম্যবাদীদের কোন অতীত অভিজ্ঞতা ছিল না। তাহারা বাধ্য হইয়া ঐ শ্রেণীকে আপাততঃ কিছু কিছু সুবিধা দিয়া কলকারখানা গঠনে মনোযোগী হইল। ধনতন্ত্রী রাষ্ট্রের পুঁজিবাদীরা অবিশ্বাসের হাসি হাসিয়া বলিতে লাগিলেন সমাজতন্ত্রবাদী পাগলামির ফল দেখ। ইহারা অতি শীঘ্রই পুরাতন ধনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফিরিয়া আসিবে। কয়েক বৎসরের মধ্যেই দেখা গেল বলশেভিকরা তাহাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিতে লাগিয়াছে। রাষ্ট্র-পরিচালিত কলকারখানা ও ব্যবসায়ের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত মূলধন হ্রাস পাইতে লাগিল। ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে আপোয, ব্যক্তিগত এবং সমবায় পদ্ধতিতে কলকারখানা পরিচালনের মধ্যে আপোষ একটা সাময়িক কৌশল মাত্র। ধনতন্ত্রীদের মুখের ক্ষণিক ঔজ্জ্বল্য নিভিয়া গেল। বলশেভিকদের সাফল্যে তাহাদের ললাটে পুনরায় দুশ্চিন্তার রেখা দেখা দিল।
১৯২২ সালে বলশেভিক পার্টি কংগ্রেসের একাদশ অধিবেশনে লেনিন নূতন অর্থ নৈতিক নীতির ব্যাখ্যা করিয়া বলিলেন, ‘আমাদের পিছু হঠিবার কার্য্য এখন নূতন ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের জন্য কম্যুনিষ্ট পার্টিকে পুনর্গঠন করা আবশ্যক এবং যোগ্য লোকের উপর এই কাজের ভার দেওয়া হউক।’ কংগ্রেসের এই অধিবেশনের পর ষ্ট্যালিন রাশিয়ার কম্যুনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হইলেন। ষ্টালিন ঘোষণা করিলেন, ‘আমাদের দেশকে কৃষি-প্রধান হইতে বাণিজ্য-প্রধান দেশে পরিণত করিতে হইবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত দ্রব্যই এদেশে প্রস্তুত করিতে হইবে। এই নীতির দিক হইতে আমাদের কর্মপদ্ধতি পরিচালিত হইবে।’ ১৯২১-২২ সালে লেনিনের নেতৃত্বে চালিত গভর্ণমেণ্ট
৮৯