পাতা:সংক্ষিপ্ত ভৈষজ্যতত্ত্ব.djvu/৯২

ঔষধ-দ্রব্য সকলের শ্রেণীবিভাগ । @意 হয় যে, অম্লতা এই সঞ্চালনের কারণ, তাহা হইলে যে কোন কারণে পাকাশয়ের অম্লতা বৃদ্ধি পায়, তদ্বশতঃ পাকাশয়ের প্রবল সঞ্চলন উৎপাদিত “ হয়। এ ভিন্ন, স্থি কুনাইন দ্বারা পাকাশয়ের প্রাচীরের পেশী সকল সাক্ষাৎ সম্বন্ধে উত্তেজিত হয় । আগ্নেয় ঔষধ-দ্রব্য সকল দ্বারাও সম্ভবতঃ পাকাশয়ের সঞ্চালন-সহায়ত হয় ; ফলতঃ ধাতব অন্ন সকল, নাক্স ভমিকা, ও আগ্নেয় ঔষধ-দ্রব্য সকল, এই ক্রিয়া সাধন করে। ভুক্ত পদার্থ পরিপাক পাইবার নিমিত্ত পাকাশয় মধ্যে যথোচিত মণিত হওন এত প্রয়োজন যে, অজীর্ণ রোগে ষে সকল ঔষধ-দ্রব্য দ্বারা পাকাশয়ের সঞ্চলন-ক্রিয়ার সহায়ত হয় তাহাদের উপযোগিতা অতুল। এ কারণ অজীর্ণ রোগের চিকিৎসার্থ সচরাচর অন্যান্য ঔষধ সহযোগে নাক্স ভমিক প্রয়োজিত হয় । বায়ুনাশক ঔষধ সকল ( কাৰ্মিনেটিভস) —যে সকল ঔষধদ্রব্য স্বারা পাকাশয় ও অন্ত্র হইতে বাল্পনির্গমনের সহায়তা হয় তাহদিগকে এই আখ্যা দে ওয়া যায় । ইহারা পাকাশয় ও অন্ত্রের কৃমি-গতি উত্তেজিত করিয়া কাৰ্য্য করে। রোগীর উপর পল্লীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে যে,-নিম্নলিখিত ঔষধ সকল বায়ুনশাৰ্থ বিশেষ ফলপ্রদ ;– সাধারণ আগ্নেয় ঔষধ সকল ; গন্ধ-দ্রলা সকল ; তিক্ত বলকারক ঔষধ সকল ; তীব্রাস্বাদ ঔষধ সকল ; হিন্ধু ; য়ামোনায়েকাম ; ভেলিরিয়্যান ; কর্পর। ৮। বমনকারক ঔষধ-দ্রব্য সকল –বমন কাৰ্য্যে যে সকল বিবিধ জটিল ক্রিয়ার সমাবেশ, তৎসমুদয় মেডুলিস্থিত স্নায়ু-কেন্দ্রের অধীন ; দেহের বিভিন্ন স্থান হষ্টতে (যথা—সেরিব্রাম, কোন দ্রব্য আভ্রাণ বা দর্শন বশতঃ বিবমিষা ; মুখাভ্যন্তর ফেরিঙ্ক স্, ঈসোফেগাস্, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকাশয়, অন্ত্র, পিত্তমাৰ্গ, মূত্রগ্রন্থি, অন্ত্রাবরণ ও জরায়ু) কেন্দ্রাভিমুখে উত্তেজনা নীত হইয়া স্নায়ুকেন্দ্র উদ্রিক্ত করিয়া থাকে ; স্বতরাং যে সকল ঔষধ-দ্রব্য পূৰ্ব্বোক্ত যন্ত্র সকল বা স্নায়ু-মূলে কাৰ্য্য করে তাহার বমনকারক ক্রিয় দর্শাইতে পারে। কিন্তু সাধারণতঃ বমনকারক ঔষধ সকল বর্ণন করিতে হইলে, কেবল যে সকল ঔষধ-দ্রবা পাকাশয়ে কাৰ্য্য করিয়া’ বা মেডুলায় স্থিত বমনকারক স্নায়ু মূলের উপর কার্য্য করিয়া বমন উৎপাদন করে তাহারাই প্রকৃত বমনকারক ঔষধ বলিয়া বর্ণিত হয় । ক্রিয়ানুসারে তাহারা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত –যাহারা পাকাশয়ের উপর কার্য্য করিয়া বমন উৎপাদন কল্পে, ইহুদিগকে সাক্ষাৎ স্বমনকারক ঔষধ বলে ;–এবং যাহারা