পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

णिको به هند বাবু মীর্জাপুরের বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকিতে ঐ বিদ্যালয়ের কার্য্য উত্তমরূপেই চলিয়াছিল অনস্তর কএক মাস গত হইল চৰ্চমিসন সোসৈটি বাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করিয়াছিলেন কিন্তু তাহারা যে কারণে সম্পর্ক ত্যাগ করেন আমরা সমাচার পত্রে তাহ প্রকাশকরণের আবশ্বকতা বুঝিলাম না পরে বাৰু গঙ্গাপারে গিয়া দুই তিন মাসপর্য্যস্ত বিসাপ কলেজে থাকিয়া বিবিধ ভাষাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দিলেন অবশেষে যে পাদরি হইলেন ইহাতে অনেকে অনেক প্রকার মনে করিবেন র্যাহারা অস্তরে খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্ম উত্তম জ্ঞান করেন র্তাহারদিগের অত্যন্ত আহলাদ বোধ হইবে কিন্তু হিন্দু ধৰ্ম্মাবলম্বির অতিশয় কটুকটব্য কহিবেন । র্তাহার পাদরি পদ গ্রহণকালীন পাদরিরা অনেকে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু অন্য লোক বিস্তর উপস্থিত থাকেন নাই । পাদরি কৃষ্ণ মোহন অল্প দিনের মধ্যেই কলিকাতায় আসিবেন এবং যাহাতে খ্ৰীষ্টীয়ান ধৰ্ম্মের বৃদ্ধি হয় তদৰ্থে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিবেন —জ্ঞানাম্বেষণ । ( ৮ জুন ১৮৩৯ । ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১২৪৬ ) প্রেরিত পত্র –.পরম্পরা শুনিতেছি যে মুখসাগরের মুন্সেফ শ্ৰীযুত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য লোভ ও পক্ষপাত ও হিংসা দ্বেষ ও মাৎসৰ্য্য শূন্ত হইয়৷ ধৰ্ম্মতঃ প্রজাবর্গের বিবাদ ভঞ্জন দ্বারা তাহারদিগের সন্তোষ জন্মাইতেছেন তাহাতে তদেশবাসি আপামর সাধারণ লোক উক্ত ব্যক্তির প্রতি প্রীত আছে ঐ মুন্সেফ ২০ বৎসরপর্য্যন্ত স্কুল ও স্কুলবুক সোসাইটির সপ্রেণ্টণ্ডেণ্টা কাৰ্য্য নিরপরাধে সুন্দররাপে নিৰ্বাহ করিয়৷ তদুভয় সভায় সেক্রেটরি ও মেম্বর ও প্রসিডেন্ট প্রভৃতি অনেক মহামহিম সাহেব লোকের সুখ্যাতি পত্র পাইয়াছেন সংপ্ৰতিও তাদৃশ প্রজা রঞ্জন ও শুদ্ধ লিখনাদি দ্বারা কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেছেন অতএব এব্যক্তির যথার্থ বিবরণ আমারদিগের লিখা আবখ্যক কারণ প্রথমতঃ সকলেই উক্ত মুন্সেফের সচ্চরিত্র জ্ঞাত হইয়৷ তদহুরূপ কাৰ্য্য করিবেন ইহাতে দেশের হিত হইবার সম্ভাবনা দ্বিতীয় দেশাধিপতি ইহা জ্ঞাত হইলে এদেশীয় প্রাড় বিবাকবর্গের প্রতি বিশ্বাস করিবেন। ( ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৪০ । ১৮ ফাল্গুন ১২৪৬ ) শ্ৰীযুত লক্ষ্মীনারায়ণ ন্যায়ালঙ্কার পণ্ডিত নূ্যনাধিক দশ বৎসর হইল পূৱণিয়া জিলায় থাকিয়া পাণ্ডিত্য ও মুনসেফা ও সদর আমিনী এই তিন কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহকরত অধিকন্তু ফৌজদারী মোকদ্দমাও অপক্ষপাতিত্বরূপে অনেক নিম্পত্তি করিয়া থাকেন কিন্তু কেবল সদর আমীনের বেতনমাত্র প্রাপ্ত হন বোধ করি এমত বিসদৃশ কার্ষ্য প্রায় কোন কৰ্ম্মকারকের প্রতি হয় নাই তাহার সমুদয় মাস সমস্ত দিন পরিশ্রম করিতে হয় তাহাতে যত মোকদম নিম্পত্তি করেন তাহ সাম্বৎসরিক রিপোর্ট দ্বারা সদরের শ্ৰীযুত সাহেব লোকেরদের দৃষ্টি গোচর