পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ماری ইহার পর ৮৯-৯০ পৃষ্ঠায় তিনটি নূতন চতুষ্পাঠী প্রতিষ্ঠার সংবাদ পাওয়া যাইবে । এই ংবাদগুলির সহিত পূৰ্ব্বখণ্ডে উদ্ধৃত চতুষ্পাঠী সংক্রান্ত সংবাদের তুলনা করিলে, দেশে চতুষ্পাঠীর সংখ্যা কিরূপ কমিয়া আসিতেছিল, তাহার আভাস পাওয়া যায়। সে-যুগে স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে কিছু কিছু তথ্য এই সঙ্কলনের প্রথম খণ্ডে উদ্ধৃত হইয়াছিল, এ-খণ্ডে আরও কিছু দেওয়া হইল। ইহার মধ্যে ৯০-১০৪ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে বাদানুবাদটি বিশেষ কৌতুকপ্রদ। স্ত্রীশিক্ষার বিরোধী লেখক বলিতেছেন যে, শিক্ষাদ্বারা বাংলা দেশের স্ত্রীলোকদের ঐহিক পরিত্রিক কোন প্রকার উন্নতিই হইবে না ; কারণ, প্রথম, “এমনি কোন পুংবর্জিত দেশ বিশ্বনিৰ্ম্মাতা নিৰ্ম্মাণ করেন নাই যে যেখানে পাটেয়ারিগিরি ও মুহুরিগিরি ও নাজীর ও জমীদারী ও জমাদারী ও আমীবী নারীবিন সম্পন্ন না হওনের সম্ভাবনা হয়,” দ্বিতীয়তঃ, “বাঙ্গলা ভাষাতে এমন কোন গ্রন্থ নাই যে তাহাতে প্রাগুক্ত | পারমার্থিক ও নীতি সম্বন্ধীয় ] কোন জ্ঞানোদয় হয় ।” লেখকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি এই অবজ্ঞা লক্ষ্য করিবার বিষয় । ৯৫ পৃষ্ঠায় বৌবাজারে একটি নুতন বালিকা-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইবার এবং ৯৮ পৃষ্ঠায় দেশে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারকল্পে একটি সভা স্থাপনের সংবাদ পাই । ইহার পর কয়েক জন বিখ্যাত ব্রাহ্মণপণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি সংক্রান্ত সংবাদ দেওয়া হুইয়াছে । ইহার মধ্যে হলহেড, কোলক্রক, মার্শম্যান ও কেরীর মৃত্যু-সংবাদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । হলহেড সাহেবই ইংরেজদের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথমে বাংলা ভাষায় স্থপণ্ডিত হন । তাহার রচিত ‘গ্রামার’ই ইংরেজ-রচিত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ । কেরী ও মার্শম্যানের মৃত্যু-সংবাদ ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ যথাক্রমে ১০৮ ও ১১৪ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে । এই স্থানে দেশীয় পণ্ডিতগণের মধ্যে এক জনের নাম উল্লেখ করা কর্তব্য । ইনি নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কার বা হরিহরানন্দনাথ তীর্থস্বামী । রামমোহন রায় ইহার শিষ্য ছিলেন । ইনি ‘মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র’ সম্পাদন এবং ‘কুলার্ণব’ নামে তন্ত্রগ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১০৪ পৃষ্ঠায় ইহার মৃত্যু-সংবাদ উদ্ধৃত হইয়াছে । ’ ১১৬ পৃষ্ঠায় কলিকাতায় একটি সাধারণ পুস্তকালয় স্থাপনের সংবাদ দেওয়া হইয়াছে । এটিই বর্তমানে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিতে রূপান্তরিত হইয়াছে। শিক্ষণ-বিভাগের শেষে সভা-সমিতি ও অন্যান্ত কতকগুলি সংবাদ সঙ্কলিত হইয়াছে । উহার মধ্যে কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য । সে-যুগের বাঙালীরা কেবলমাত্র স্কুল-কলেজে বিদ্যাশিক্ষা করিয়াই সন্তুষ্ট থাকেন নাই, কৰ্ম্মজীবনেও বিদ্যাচর্চার জন্য অনেক সভা-সমিতি স্থাপন করিয়াছিলেন ( ১২১-১২৯ পৃষ্ঠা ) । এই সকল সভা-সমিতির অনেকগুলিতেই ইংরেজী ভাষায় বক্তৃত হইত। কয়েকটিতে বাংলা ভাষায় আলোচনা হইত। ১২৩ পৃষ্ঠায় বঙ্গরঞ্জিনী সভা নামে একটি সভার বিবরণ আছে। উহা বাংলা ভাষা চর্চা করিবার উদ্দেশ্বে স্থাপিত হয় । কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এই সভার সম্পাদক ছিলেন । ১২৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত