পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہ ابرڈ হয় নাই। কিন্তু ইহা হইতেও সে যুগে সংবাদপত্র কিরূপ অল্পসংখ্যক লোক পড়িত তাহার সুস্পষ্ট ধারণ হয় । ২০৬-১৩ পৃষ্ঠায় ভারতবর্ষের বর্ণমালা-সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা মুদ্রিত হইয়াছে। এগুলি হইতে জানা যাইতেছে, ভারতীয় বর্ণমালার পরিবর্তে রোমান বর্ণমালা প্রচলন সম্বন্ধে আন্দোলন আধুনিক নহে—শত বর্ষ পূর্বেই ইহার স্বচনা হইয়াছিল । এই প্রসঙ্গে ‘সমাচার দপণ’-সম্পাদক মার্শম্যান সাহেব কিন্তু মন্তব্য করেন— অামারদের সম্মত মিত্ৰগণ ও আমরা• • • এতদ্রুপ অক্ষর পরিবর্তনের ঔচিত্য বিষয়ে এবং তাহাতে কৃতকাৰ্য্যতার সম্ভাবনা বিষয়ে.প্রতিকুল...। সাহিত্য-বিভাগের শেষে সাহিত্য ও ভাষা সংক্রান্ত কতকগুলি সংবাদ উদ্ধৃত হইয়াছে। এগুলির প্রায় অধিকাংশই বাংলা ভাষার চর্চা সম্বন্ধে । যে-যুগের কথা পুস্তকের বর্তমান খণ্ডে বলা হইয়াছে, তখন আদালতে ফাসী ভাষার ব্যবহার উঠাইয়া দিবার আদেশ হয় । গবর্মেন্টের এই আদেশ বিজ্ঞাপিত হইবার পূৰ্ব্বে সংবাদপত্রে অনেক আলোচনা প্রকাশিত হয় । এই ব্যাপারে ‘সমাচার দর্পণ বাংলা ভাষার পক্ষ গ্রহণ করিয়া অনেক মন্তব্য ও পত্রাদি প্রকাশ করে । ইহার মধ্যে ২১৮ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত পত্রটিতে পারস্য ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বহু যুক্তি দেওয়া হইয়াছে। এ-বিষয়ে গবর্মেন্ট যে আদেশ দেন, তাহ ২২০-২১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হইল । ২২৬ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত একটি সংবাদ হইতে আমরা জানিতে পারি যে, ফাসীর ব্যবহার উঠাইয়া দিয়া তাহার স্থানে বাংলা দেশে হিন্দীর প্রচলন করিবার প্রস্তাব প্রথমে হয় । শুধু আদালতে নহে, অন্যান্য ক্ষেত্রেও যাহাতে বাংলা ভাষার প্রসার হয়, এ-বিষয়েও ‘সমাচার দর্পণ” খুব আগ্রহশীল ছিল । ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর চার্টারে এ-দেশীয় লোকদের মধ্যে বিদ্যাপ্রসারের জন্য লক্ষ টাকা মঞ্জুর ছিল। এই অর্থ সাধারণতঃ সংস্কৃত ও আবাঁ পুস্তক প্রকাশের জন্য ব্যয়িত হইত। ‘সমাচার দর্পণে এই প্রসঙ্গে যে মন্তব্য হয়, তাহ ২১৫-১৭ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে । অন্যান্ত কথার পর ‘সমাচার দর্পণে লেখা হইল যে, বোর্ডের সাহেবের ংস্কৃত গ্রন্থের প্রতি মনোযোগ দেওয়ায় এই ফলোদয় হইয়াছে যে ঐ লক্ষ টাকা নিযুক্ত হওনের পূৰ্ব্বে যেমন পাঠশালায় দেশীয় লোকেরদের ভাষার উপযুক্ত বহীর অভাব ছিল তেমন এইক্ষণে বিংশতি বৎসরের পরে ও তত্ত ল্য অভাব আছে। গত অক্তোবর মাসে আমরা ইউরোপীয় ও এতদ্দেশীয় পাঠক মহাশয়েরদের নিকটে প্রার্থনাপূর্বক নিবেদন করিয়াছিলাম যে এতদ্বিষয়ে দেশীয় লোকেরদের উপকারার্থ অত্যর মাত্র উদ্যোগ হইয়াছে এবং ঐ বোর্ডের প্রধান২ সাহেবেরদের যে ভ{যার বিযয়ে অনুরাগ তদ্ভাষার গ্রন্থ অনুবাদের নিমিত্ত ঐ তাবৎ টাকাই প্রায় ব্যয় হইয়াছে এবং এক সময়ে ঐ বোর্ড কেবল সংস্কৃত গ্রন্থবিষয়ে মনোযোগী কোন সময়ে আরবীয় গ্রন্থ মুদ্রিতবিষয়ে মনোযোগী এবং যখন মহাবিজ্ঞবিচক্ষণ শ্ৰীযুত ডাক্তর উইলসন সাহেব ভারতবর্ষ ছাড়িয়া গেলেন তখন কোরাণের ভাষা একেবারে প্রবল হইয়। উঠিল কিন্তু কখনই ঐ বোর্ডের সাহেবেরদের বঙ্গভাষা অর্থাৎ তিন কোটি লোকের ভাষার প্রতি অনুরাগ জম্মিল না । 히