পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ శి&హి হইয়াছে কি তাহার আর কোন কারণ অাছে। তাহারদিগকে আরও জিজ্ঞাসা করি ষে বিদ্যা অথবা জ্ঞান থাকিলে ঐ স্ত্রীলোকেরা কি এমত কুৎসিত কৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্ত হইত। কিন্তু যদিও প্রশ্ন করিলাম তথাপি স্ত্রীলোকের বিদ্যাশিক্ষার ঐ দৃঢ় প্রতিবন্ধক শক্ৰ মহাশয়ের অম্মদাদির এই সকল প্রশ্নে কোন সদুত্তর প্রদান করিবেন এমত আমরা কখন ভরসা করি না যেহেতুক অবগত আছি যে নারীগণকে বিদ্যাশিক্ষণ করাইলে কি উপকার হইবেক ইহা র্তাহারা তর্কসহিত বিবেচনা না করিয়া কেবল অন্ধের ন্যায় কহিয়া থাকেন যে আমারদিগের পূৰ্ব্বপুরুষেরা যাহা করেন নাই তাহাকরণের আবখ্যক কি তাহারদিগের অপেক্ষ আমরা জ্ঞানবান নহি স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যাশিক্ষা করাইবার প্রয়োজন কি পতির সেবা করাই তাহারদিগের কৰ্ম্ম এবং ধৰ্ম্ম ইহা করিলে তাহারা স্বর্গে গমন করিবেক —সং স্কং সম্বাদ স্থধাকর } * ( ৪ জুলাই ১৮৩৫ । ২১ আষাঢ় ১২৪২ ) শ্ৰীযুত দর্পণপ্রকাশক মহাশয় বরাবরেষু —.কৌলীন্য যে এক মৰ্য্যাদা সে সর্বসাধারণ দেশেই আছে যাহার লক্ষণ আচারে বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠ তীর্থদর্শনং নিষ্ঠাবৃত্তি স্তপোদানং নবধা কুললক্ষণং । এই নবগুণবিশিষ্ট যে সেই কুলীন বল্লাল সেন কুমারিক খণ্ডাধিপতি হইয়া আধুনিক কৌলীন্য উপাধি বিশেষ দিয়া পূৰ্ব্বকথিত রীতির বৈপরীত্যে নিৰ্ম্মলকুলে কলঙ্ক বীজ রোপন করিয়া বংশ ধ্বংসের ও নানা প্রকার পাপ সঞ্চারের সুচারু পথ করিয়া গিয়াছেন যাহাতে ক্রমিক অসীম অমঙ্গল হইতেছে । সম্পাদক মহাশয় এই আধুনিক কৌলীন্য রীতি BBB BBBBB BB BBB BBB BBB BBBBBB BBB BB KBBB BBB BBS পূৰ্ব্ব বিক্রমপুর পশ্চিম মেদিনীপুর দক্ষিণ মণ্ডলঘাট উত্তর রঙ্গপুর এই চতুঃসীমাবৰ্ত্তি স্থানমধ্যে ব্রাহ্মণ রাঢ়ীয় বারেন্দ্র ও কায়স্থ অতিবিশিষ্ট সন্তানসকল আছেন । ধৰ্ম্মশাস্ত্রপ্রভৃতি সকলি । সংসস্তানেরদের নিমিত্ত বল্লাল আত্মপ্রভূত্বের নিমিত্ত যে দুর্গম নিয়ম করিয়া যান সে কেবল ষে ধৰ্ম্মক্ষয়জন্য তাহা নয় বংশলোপের এমত সোপান করিয়া গিয়াছেন যাহাতে কালক্রমে এককালীন জগং হইতে সদ্বংশরূপ মূলের উৎপাটন হইবেক । দেখুন আমারদের ষে স্বষ্টিকর্তা ঈশ্বর তিনি স্ত্রী পুরুষ উভয়ই তুল্যাংশ উৎপত্তি করিতেছেন তাহাতে যদ্যপি এক কুলীনসস্তান আপন মেলাহুসারে এক শত দারা পরিগ্রহ করিলেন তবে কি ৯৯ জন পুরুষকে নিঃসন্তান বলিতে পারি না । এবং মেলবদ্ধ থাকাতে অনেক কুলীনকন্যা জন্মাবচ্ছিন্ন অদভাই থাকিলেন । ইহাতে প্রজাবৃদ্ধি যত বিবেচনা করিয়া দেখিলেই স্ববুদ্ধির বুঝিতে পারিবেন। ধৰ্ম্মলোপের বিষয় যৎকিঞ্চিং বিদিত করিতে সঙ্কুচিত হইয়া লিখিতেছি যে এক ব্যক্তিহুইতে বহু স্ত্রীর মনোভিলাষ কোনরূপেই পূর্ণ হইতে পারে না ইহাতে ঐ কুলীনের স্ত্রী প্রায়ই পরপুরুষরত হইয়া জারজ সস্তান উৎপন্ন করিতেছে এবং পূৰ্ব্বোক্ত অবিবাহিতা স্ত্রীরা যৌবনযন্ত্রণায় কাতরা হইয়া পরাসক্তাতে তাহারদের গর্ড হইতেছে। যদ্যপিও কুলে জলাঞ্জলি দিয়া এই কৰ্ম্ম করে ৩২