পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ মgৱাদপত্রে মোকালের কথা শ্ৰীপ্রেমচাঁদ ঘোষ শ্রীরামগোপাল ঘোষ শ্রীরামরত্ব বহু ঐবিশ্বেখর বস্ব শ্ৰীগোবিন্দচন্দ্র মিত্র । সৰ্ব্ব সাং মলঙ্গ । ( ২১ এপ্রিল ১৮৩৮ । ১০ বৈশাখ ১২৪৫ ) শ্ৰীযুত দর্পণ প্রকাশক মহাশয় সমীপেযু —বিহিত সম্বোধন পূর্বক নিবেদন মেতং । সম্প্রতি এতদ্দেশে এক মহাগোলযোগ উপস্থিত হইয়াছে ইউরোপীয় যে মহাশয়রা এইদেশে চিনি প্রস্তুত করণের বাণিজ্যোৎসাহী হইয়া নানা স্থানে তাহার কারখানা করিয়া ঐ বাণিজ্যের বিস্তার করিয়াছেন এইক্ষণে উত্তম চিনি প্রায় চতুরাংশের তিন অংশ তাহারদিগের কারখানায় প্রস্তুত হইতেছে । ঐ মহাশয়র হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বি পরাধীন অক্ষম ব্যক্তিরদের প্রতি একেবারে করুণানয়নমুদ্রিত পূর্বক স্থললাভ ফলাকাজী হইয়া স্ব২ বাণিজ্য বৃক্ষমূলে অম্মদাদির ধৰ্ম্মনাশ বারি সেচন করিতেছেন অর্থাৎ গবাস্থি প্রভৃতি হিন্দুরদিগের অনুচ্চার্ধ্য* দ্রব্যের দ্বারা বাণিজ্য দ্রব্যের পারিপাট্য ও পরিষ্কার করিতেছেন এমত রাষ্ট্র হওয়াতে প্রায় এতদেশীয় তাবৎ সনাতন ধৰ্ম্মাবলম্বির শর্করোদ্ভব দ্রব্যত্যাগী হইয়াছেন এবং এইপ্রযুক্ত অত্রস্থ নিস্ব পরিশ্রমোপজীবি মোদক প্রভৃতি ব্যবসায়ি ব্যক্তিরদের শর্করাঘটিত মিষ্টান্ন অবিক্রয় হওয়াতে অতিদুর্দশা ঘটিয়াছে। এতাদৃশ অত্যাচার উক্ত বাণিজ্যকারি মহাশয়েরদের দ্বারা হওয়া অসম্ভব নহে যে হেতুক তাহার রাজার জাতি যা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারেন বটে কিন্তু অন্মদেশাধিপতিরদের এতদ্রুপ দৌরাত্ম্য দুব না করা আশ্চৰ্য্য বোধ হইতেছে যেহেতু প্রাচীন সময়ে অর্থাৎ যৎকালে ইঙ্গলণ্ডাধিপতির এতদ্দেশে রাজ্যলাভ হয় তৎকালে এইপ্রদেশ জবনাধীন ছিল এবং তাহারদিগের দোর্দণ্ড প্রচণ্ডপ্রতাপ মাৰ্ত্তও প্রখর প্রতিভা এরূপ ছিল না যে অন্য কোন দেশাধিপতি তাহ নিবারণপূর্বক এদেশের কর্তৃত্ব ক্ষমতা প্রাপ্ত হন এবং ইহাও ব্যক্ত আছে যে উক্ত জবনেরদের হিন্দু ধৰ্ম্মাঘাতিত্ব স্বভাবে সনাতন ধৰ্ম্মভূষণ মহারাজ রাজেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র বাহাদুর ও মহারাজ রাজবল্লভ রায় প্রভৃতি বঙ্গীয় কতিপয় প্রধান ব্যক্তিরা জবন দৌরাত্ম্যে স্বীয়২ ধৰ্ম্মরক্ষণে অনন্যোপায় নিরীক্ষণে বিলক্ষণ বিচক্ষণতা প্রকাশে ইঙ্গলওঁীয়দিগের শরণাপন্ন হইয়া বিবিধ কৌশলে ছলে এই সুবিস্তার স্থসমৃদ্ধ রাজ্য এই আকাঙ্ক্ষায় । র্তাহারদিগের অধীন করিয়া দেন যে র্তাহারা এই দেশের রাজা হইয়া রাজধৰ্ম্মানুসারে সৰ্ব্বধৰ্ম্ম প্রতি সমস্নেহ প্রকাশ করিবেন । বিশেষত হিন্দুধর্মের প্রতি সৰ্ব্বদাই যত্নবান থাকিবেন যেহেতুক উক্ত নমহাশয়রা কেবল স্বীয় ধৰ্ম্মরক্ষার্থে শাস্ত্রসিদ্ধ জবনেরদের বিরুদ্ধাচারী হইয়া ছিলেন । হে সম্পাদক এইক্ষণে কি দেশাধিপতি মহাশয়রা হিন্দুরদের প্রতি সে স্নেহ একেবারে পরিত্যাগ করিলেন যে এইরূপ অত্যাচার অর্থাৎ হিন্দুরদিগের প্রধান খাদ্য দ্রব্য শর্করাদিতে গো অস্থি মিশ্রিত করণ বিষয়ে শাসনাজ্ঞা করেন না এমত হইবে না । যা হউক মহাশয় এতৎপত্র দর্পণাপণে চিরবাধিত