পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গমঞ্জ *انہ" یہ ہی \లళి? অতএব আমি তাহাতে সম্মত হইলাম না এইরূপ দুই তিন দিবস বলিয়া শেষে আমার নিকট এক পরবান পাঠাইল তাহার অভিপ্রায় এই যে আমি ঐ পরবানান্নুরূপ কাৰ্য্য করিব না তবেই সে মিথ্যা এক মোকদ্দমার ভয় দেখাইয়া আমার স্থানে বিলক্ষণ হাত মারিবে । ঐ আমলার পরবানাতে লেখে কলিকাতা হইতে যে ব্যক্তি আসিয়া বাসা করিয়া রহিয়াছে এবং আপনাকে বাবু কহলাইতেছে তাহার নাম সাকিম জিলা এবং বাসাতে কত লোক থাকে আর কখন কোন লোক বাসাতে কি কারণে আইসে এবং ঐ বাৰু কহলানেওয়ালা কি নিমিত্তে আসিয়াছে এই সকল অবিলম্বে লিথিয়া থানায় পাঠাইতে হইবে যদি না দেয় তবে তাহার কারণ লিথিবে আর বাসায় যখন ষে লোক আসিবে তাহার আসিবার কারণ প্রত্যহ লিখিয়া থানায় পাঠাইতে হইবে । আমি তাহার এইরূপ অসন্ত্রমের লেখা দেখিয়া একেবারে ক্রোধে পরিপূর্ণ হইলাম এবং প্রতিজ্ঞা করিলাম এই মূখ:আমলাকে প্রতিফল না দিয়া জল গ্রহণ করিব না। কারণ আমি ইঙ্গলওঁীয় শ্ৰীমতী মহারাণী বিকটেরিয়ার প্রজা তাহার অধিকারের মধ্যে যথা ইচ্ছা স্বেচ্ছাপূর্বক বাস করিতে পারি তাহাতে পালিমেণ্টের অথবা কোম্পানি বাহাদুরের কোন আইনের মধ্যে নিষেধ নাই । তবে ঐ আমলা আমাকে এপ্রকার অসন্ত্রমের শব্দ কি কারণে লেখে। পরে তৎক্ষণাৎ এই বিষয় মাজিস্ত্রেট সাহেবের নিকট লিখিয়া পাঠাইলাম কিন্তু বিজ্ঞবর মাজিস্ত্রেট সাহেব এবিষয়ে আমার প্রতি সদ্ব্যবহার করিয়াছেন। পত্র পাঠমাত্র তিনি কহিলেন বাবুর নিকট আমলার ” এপ্রকার পত্র পাঠাইবার কোন অধিকার নাই তাহাকে আমি বিলক্ষণ প্রতিফল দিব । তাহাতে ঐ আমলার আশায় ছাই পড়িল এবং ভয়েতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিল কিন্তু আমি তাহাকে উপরে উঠিতে দেই নাই । কোন২ আমলা অত্যন্ত দুরাচার বদ্ধমান শহরের মধ্যে চুরী ডাকাইতির গন্ধ পাইলে গরীব প্রজারদের শরীরে রস থাকিতে ছাড়ে না । এখানকার লোকেরা বলে শ্রাবণ মাসে এক ঘরে তিনটা স্ত্রী হত্যা হইয়াছিল তাহাতে ঐ রাক্ষস দরিদ্র লোকের স্থানে ১৪০০ শত টাকা ঘুস নিয়াছে এবং ঐ সময়ে এক গৃহস্থেরদের চুরী হয় তাহার গন্ধে যাহাকে পায় তাহাকেই চোর বলিয়া কয়েদ রাখিয়া টাকা নিয়া ছাড়িয়াছে। যাহা হউক আমি তাহার দুষ্কৰ্ম্মের অনুসন্ধানে রহিলাম বিশেষ জানিয়া মাজিস্ত্রেট সাহেবকে এবং মহাশয়কে অবশ্য জ্ঞাত করিব —শ্ৰীগৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ । ( ২ ডিসেম্বর ১৮৩৭ ৷ ১৮ অগ্রহায়ণ ১২৪৪ ) শ্ৰীযুত দর্পণপ্রকাশক মহাশয়েষ্ণু —অদ্যকার দর্পণের মধ্যে গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ ইতিস্বাক্ষরিত যে পত্রে বর্দ্ধমানের দারোগার প্রতি তিনি যে অভিযোগ প্রকাশ করেন তাহা পাঠ করিলাম যদ্যপি আমি উভয় পক্ষের কোন পক্ষীয়ই নহি তথাপি দেখিতেছি উক্ত দারোগার প্রতি স্থদ্ধ অকারণ দোষারোপণ হইয়াছে। যেহেতুক ঐ দারোগা বাবুর